আমফান, রিমেলের স্মৃতি এখনও দগদগে। ঝড়ের নাম শুনলেই বুকটা কেঁপে ওঠে গ্রামের বাসিন্দাদের। দুর্যোগে সর্বস্ব হারানোর ভয়ে ঘুম উড়েছে গাদিয়াড়ার পাঁচসেরাপাড়ার বাসিন্দাদের।হাওড়া জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র শ্যামপুরের গাদিয়াড়া। রূপনারায়ণ নদী তীরের পাঁচসেরাপাড়ার এলাকার বাসিন্দাদের এখন একটাই ভয়, ‘দানা’র দাপটে কাঁচা বাড়িগুলি আদৌ থাকবে তো? নাকি ফের খোলা আকাশের নীচে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে রাত কাটাতে হবে!
আমফান, ইয়াস, রিমেলের মতো ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা রয়েছে গ্রামের সকলেরই। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে এলাকায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সেটা ভাবলে এখনও গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। আর এর মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক বাড়িয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। গত কয়েকদিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ের কথা শোনার পর থেকেই নদী পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক দানা বেঁধেছে।
গ্রামের বাসিন্দা শেখ হালিম আলি। পেশায় ইট ভাঁটার শ্রমিক। বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও তিনটি ছোট মেয়ে আছে। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবাণী শোনার পর থেকেই রাতের ঘুম উড়েছে এই পরিবারের। ঘূর্ণিঝড়ের কথা শোনার পর থেকেই টালির চাল ত্রিপলের ছাউনি দিয়ে মেরামত করা শুরু করে দিয়েছেন হালিম। দড়ি দিয়ে ত্রিপল বাঁধার কাজ করছেন নিজেই।
কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান, গত কয়েকটা ঘূর্ণিঝড়ে যেভাবে ক্ষতি হয়েছে তাতে এবারেও আতঙ্কে রয়েছে। হালিম বলেন, ‘আমফানের সময় ঘরের একদিকটা উড়ে চলে গিয়েছিল। সারারাত পরিবারের সবাইকে নিয়ে রাত জেগে বসে থাকতে হয়েছিল। আর সেই কারণে এ বারেও আতঙ্কে আছি।’ হালিমের স্ত্রী নাজিমা বিবি জানান, নদীর পাড়ে থাকার কারণে ঘূর্ণিঝড় দূরে থাক, একটু জোরে হাওয়া দিলেই মনে ভয় হয়। সেই কারণে যথেষ্ট সকলেই। গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দারা জানালেন, গতবার ঝড়ে বাড়ির ক্ষতির পর একটা ত্রিপল কিনে ছাউনি দিয়ে থাকতে হয়েছে। এ বার কী হবে? প্রহর গুনছেন সকলেই।