পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই ধর্মগুরু সমাজমাধ্যমে পরিচিত মুখ। তাঁর ‘বচনে’ আকৃষ্ট হয়েই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ওই তরুণী। এর পর ২০২৩ সালে মে মাস নাগাদ বীরভূমের একটি আসরে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ। তার পরেই ধর্মগুরুর ‘ভক্ত’ থেকে ‘শিষ্যা’ হয়ে যান তরুণী। দীক্ষাদান মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার একটি আসরে। তরুণীর দাবি, তাঁর জীবনের দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ‘গুরুজি’। তারই সুযোগ নিয়ে গুরুজি তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে দাবি তরুণীর। এর জেরে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। তরুণীর দাবি, এর পর গত জুলাই মাসে তরুণী গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। যদিও প্রাণে বেঁচে যান। দীর্ঘ দিন চিকিৎসার মধ্যে থাকতে হয় তরুণীকে। একটু স্থিতিশীল হওয়ার পর জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে তিনি মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
কাটোয়ার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রি বলেন, ‘‘সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়েছিল। বিচারক তা মঞ্জুর করেছেন।’’