দুর্গাপুজোর আগে কোচবিহারের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা পুরসভার চেয়ারম্যান-সহ অন্যান্য আধিকারিককে নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে জেলাশাসক জানান, কোচবিহারে ১৫ দিন ধরে চলবে রাস মেলা। কোনও ভাবেই সেই সময়সীমা বৃদ্ধি করা যাবে না। বৃহস্পতিবার এই মেলা নিয়ে বৈঠক হয় পুরসভায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, আধিকারিকেরা। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ১৫ দিনের পরিবর্তে কোচবিহারে রাসমেলা চলবে ২০ দিন। এ নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘রাসমেলা ১৫ দিনের পরিবর্তে ২০ দিন না হলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হবে। তাই ব্যবসায়ীরা ২০ দিন ধরে মেলা চালানোর আবেদন জানিয়েছেন।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, রাসমেলা উপলক্ষে কোচবিহার পুরসভার পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে যোগ দেন বিভিন্ন শিল্পীরা। রবীন্দ্রনাথের দাবি, মেলা ২০ দিন ধরে না-চললে পুরসভার পক্ষে এই খরচ বহন করা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। মেলা ১৫ দিন চলবে শুনে অনেক ব্যবসায়ী আসতে চাইছেন না। বিশেষত বাংলাদেশ ব্যবসায়ীরা আসতে চাইছেন না। সময়সীমার কারণে মেলায় সার্কাস আনার ব্যবস্থাও করা যাচ্ছে না বলে দাবি পুরসভার চেয়ারম্যানের।
রবীন্দ্রনাথ জানিয়েছেন, ঐতিহ্যবাহী কোচবিহার রাস মেলার দু’টি অংশ রয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে ১৫ দিন ধরে একটি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। অন্য দিকে, কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে পুরসভার পক্ষ থেকে একটি মেলা অনুষ্ঠিত হয়, যা প্রতি বছরই ২০ দিন চলে। অভিযোগ, এ বছরই জেলা প্রশাসন তাতে হস্তক্ষেপ করে মেলার সময়সীমা কমাতে চাইছে। তাঁর কথায়, ‘‘জেলা প্রশাসনকে বুঝতে হবে এই মেলা পরিচালনা করে কোচবিহার পুরসভা। জেলা প্রশাসন শুধু সহযোগিতা করে। পুরসভার রেজোলিউশন-সহ একটি আবেদন জেলা শাসককে দেওয়া হবে। জেলাশাসক যদি ২০ দিন মেলা চালাতে বাধা দেন তা হলে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব।’’