আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকলমন্ত্রীও পৌঁছে যান দুর্ঘটনাস্থলে। দমকলকর্মীদের কাজের তদারকি করেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর তিনি জানিয়েছেন, গুদামের ভিতরে কিছু দাহ্য বস্তু মজুত রয়েছে। সেই কারণে আনাচে কানাচে জ্বলতে থাকা ছোট ছোট আগুনগুলিকে নেভাতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। যদিও আগুন আর ছড়াবে না বলেই আশ্বস্ত করেছেন সুজিত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুন ধরার বিষয়টি বেশ কিছু ক্ষণ পরে নজরে এসেছিল ব্যবসায়ীদের। ফলে দমকলে খবর দিতেও কিছুটা দেরি হয়। শুরুতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন পৌঁছেছিল দুর্ঘটনাস্থলে। তবে আগুনের তীব্রতা বেশি হওয়ার কারণে পর পর আরও ইঞ্জিন পৌঁছয়। শেষে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিনের চেষ্টা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
কালীপুুজো ও দীপাবলির আগে এজরা স্ট্রিটে প্রচুর মানুষের ভিড় থাকে। রকমারি নিয়ন বাতির পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতাদেরও ভিড় থাকে। বুধবারও যথেষ্ট ভিড় ছিল এজরা স্ট্রিটের বাজার এলাকায়। এরই মধ্যে আগুন লেগে যাওয়ায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মনে।
এজরা স্ট্রিটের এই অঞ্চলটি বেশ ঘিঞ্জি। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে দমকলকর্মীদের। যেখানে আগুন লেগেছে, তার পাশেই একটি বহুতলও রয়েছে। আগুন যাতে বেশি ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেই দিকেও নজর ছিল দমকল। বৌবাজার থানার পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা পৌঁছে গিয়েছেন এজরা স্ট্রিটে।