ঘূর্ণিঝড় দানা নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব, একগুচ্ছ নির্দেশ জারি
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ অক্টোবর ২০২৪
এখন ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ নিয়ে বাংলা তথা গোটা দেশে চর্চা চলছে। আর তাই সেটা থেকে বাঁচতে নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ঝড়ের পরিস্থিতি বিচার করে এবার ৯ জেলার জেলাশাসককে নিয়ে আজ, বুধবার জরুরি বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আছড়ে পড়ার আগে আগামী ২৪ এবং ২৫ অক্টোবর উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে বলে খবর। সমুদ্রের কাছের এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে শিবিরে রাখার কাজ কতটা হয়েছে তা বিস্তারিত খোঁজ নেন মুখ্যসচিব বলে খবর। কালিপুজোর মণ্ডপ তৈরি করা যেগুলি হয়ে গিয়েছে সেগুলির বাঁধন যেন আলগা না হয় সেদিকে নজর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আজ, বুধবার থেকেই জেলায় ফেরি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে সমস্যায় পড়বেন নিত্যযাত্রীরা। আর আগামীকাল ঝড়ের ভয়ে রাস্তায় মানুষ প্রায় বেরোবেন না বলেই খবর। এই আবহে স্কুল–কলেজ ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। লোকাল ট্রেন থেকে শুরু করে বিমান পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সাতটি জেলায় বেশি প্রভাব ফেলবে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। তাই সেগুলির উপর বাড়তি নজর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, দিঘা এবং সাগরের উপর নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। তাতে গাছ ও বাড়ির ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে আজ রাত পর্যন্ত তেমন কোনও ঝুঁকি নেই। কিন্তু বুধবার, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ দাপট দেখাতে পারে। এই বিষয়ে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ গাছ পড়লে তা দ্রুত সরিয়ে ফেলার বন্দোবস্ত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। নীচু এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষজনকে সরানো হয়েছে। তাঁদের বিশেষ খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে। আবার ত্রাণ সামগ্রী যাতে সকলেই পান সেটা নিশ্চিত করতে বলেছেন মুখ্যসচিব। আজ রাত থেকেই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম খুলে নবান্নের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।
এছাড়া কলকাতা পুরসভার কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আজ, বুধবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত এই নির্দেশিকা জারি থাকবে। আর ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে কন্ট্রোল রুম। সমস্ত নিকাশি পাম্পিং স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা কর্মীদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। আর লালবাজারে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। জেলার কন্ট্রোল রুম যাতে সব সময় কাজ করে সেটার দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। আগামীকাল রাতে থেকেই ঘূর্ণিঝড় দানা আছড়ে পড়তে পারে স্থলভাগে। তখন ঘণ্টায় গতিবেগ থাকতে পারে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টারও বেশি। তাই উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সবথেকে বেশি নজর দিতে বলা হয়েছে।