হোটেলের রান্নাঘরে হানা মহকুমা শাসক ও ফুড সেফটি অফিসারদের
বর্তমান | ২৪ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: ভরদুপুরে হোটেলের রান্নাঘরে গিয়ে হাজির মহকুমা শাসক সহ বেশ কয়েকজন অধিকারিক। রান্নার মান কেমন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হচ্ছে কিনা সেগুলি খতিয়ে দেখলেন তাঁরা। অভিযোগ ছিল, দিনের পর দিন ডোমেস্টিক গ্যাস সিলিন্ডারে হোটেলে রান্না হচ্ছে। পর পর দশটি হোটেলে হানা দিয়ে অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখলেন আধিকারিকরা। বহরমপুর সদরের মহকুমা শাসক শুভঙ্কর রায় সহ এদিনের অভিযানে হাজির ছিলেন জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসার ও ফুড সেফটি অফিসাররা। বহরমপুর শহরে রাস্তার ধারের কয়েকটি নামী হোটেলে হানা দেন তাঁরা। হোটেলগুলিতে শিশু শ্রমিককে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হয়। অভিযান শেষে কয়েকটি হোটেল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছেন আধিকারিকরা।
শুভঙ্করবাবু বলেন, ডোমেস্টিক সিলিন্ডার বিভিন্ন হোটেলে ব্যবহার করা হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়ে আমরা এদিন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসারদের নিয়ে হানা দেই। পাশাপশি ফুড সেফটি অফিসারদের নিয়ে দশটি হোটেল এবং ধাবা পরিদর্শন করেছি। কোথাও শিশু শ্রমিকদের কাজে লাগানো হচ্ছে কিনা, খাবারের হোটেলগুলিতে ঠিকমতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে কিনা সেগুলিও দেখা হয়েছে। খাবারের মান খতিয়ে দেখেছেন ফুড সেফটি অফিসাররা। কয়েকটি হোটেলকে সতর্ক করা হয়েছে। তারা ডোমেস্টিক সিলিন্ডার ব্যবহার করছে।
গৃহস্থের গ্যাস সিলিন্ডার হাত ঘুরে চলে যাচ্ছে হোটেলের রান্নাঘরে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাড়ির গ্যাস হোটেলে ডেলিভারি দিচ্ছে। ব্যবসায়িক গ্যাস কিনতে খরচ অনেক। তাই গৃহস্থের সিলিন্ডার প্রথম পছন্দ বহু হোটেল মালিকের। ডেলিভারি বয়দের কাজে লাগিয়ে একটু বেশি দামে ডোমেস্টিক সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে হোটেলে। উৎসবের মরশুমে দেদার ডোমেস্টিক সিলিন্ডার পৌঁছে গিয়েছে হোটেলের কিচেনে। পাশাপাশি রান্নায় পুরনো তেল, মশলা এবং বাসি কাঁচামাল ব্যবহার করা হচ্ছে। অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অধিকাংশ হোটেলে রান্না হয়। এসব দেখে ক্ষুব্ধ আধিকারিকরা। তাঁরা শহরের বেশ কিছু হোটেল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে। নিয়ম মেনে হোটেল না চালালে আগামীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
বহরমপুরে মোহনা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় হোটেলে খেতে এসে অচিন্ত্য সমাদ্দার বলেন, হোটেলগুলি প্লেটে ভালোভাবে খাবার পরিবেশন করে। আমরা তো চেটেপুটে খেয়ে ফেলি। কিন্তু সেগুলি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের রান্না হচ্ছে কিনা, তেল, মশলার মান কেমন, সেটা আমাদের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। তাই এমন অভিযান মাঝে মধ্যে হওয়া উচিত।