নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: স্ত্রী কার, এই দ্বন্দ্বে দুই স্বামীর মারামারিতে উত্তেজনা ছড়াল ভূপতিনগর থানার জুখিয়ায়। বুধবার দুপুরে জুখিয়ার ওই ঘটনা যেন সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়। মারামারি থামাতে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য থানায় ফোন করেন। খবর পেয়ে পুলিস এসে ওই বধূ, তাঁর দুই স্বামী এবং বাবা-মাকে থানায় নিয়ে যায়। দুই যুবকেরই দাবি, স্ত্রীর অধিকার তাঁর। থানার মধ্যেই এই দ্বন্দ্বে ফাঁপরে পড়ে যায় পুলিসও। ওই বধূর কাছ থেকে পুলিস অফিসাররা জানতে চান, তিনি কার কাছে থাকতে চাইছেন। এই প্রশ্নে যুবতীর জবাব, তিনি দ্বিতীয়পক্ষের স্বামীর কাছেই থাকবেন। নাচিন্দা মন্দিরে তাঁরা বিয়ে করেছেন। যুবতীর এখন বয়স ৩০বছর। অগত্যা পুলিসের পক্ষ থেকে প্রথম স্বামীকে আদালতের দ্বরাস্থ হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ১০বছর আগে ময়না থানার বাঁকি ভাণ্ডারচক গ্রামের ওই যুবতীর সঙ্গে ওই থানার রাধাবল্লভচক গ্রামের এক যুবকের বিয়ে হয়। ওই যুবক কর্মসূত্রে মহারাষ্ট্রে থাকেন। তাঁদের ন’বছরের এক ছেলে রয়েছে। এদিকে, ওই গৃহবধূর সঙ্গে মিসড কলের মাধ্যমে ভূপতিনগরের জুখিয়ার এক যুবকের পরিচয় হয়। ওই যুবক এর আগে দু’টি বিয়ে করলেও কোনও স্ত্রী সঙ্গে থাকে না। গত ১২জুন জামাইষষ্ঠীর আমন্ত্রণ জানাতে ওই যুবকের শাশুড়ি মেয়ের শ্বশুরবাড়ি যান। সেসময় জামাই মহারাষ্ট্রে ছিলেন। দু’দিন বাদে বধূ বাপের বাড়ি যাওয়ার কথা বলে ছেলেকে নিয়ে সোজা জুখিয়ায় প্রেমিকের বাড়িতে পৌঁছে যান। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই স্বামী মহারাষ্ট্র থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। তারপর ওই বধূর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের সন্তানকে ফেরানো হয়। কিন্তু ওই বধূ তাঁর প্রেমিকের কাছেই থেকে যান। তারপর থেকেই বধূকে প্রেমিকের সঙ্গমুক্ত করার চেষ্টা চলতে থাকে। বুধবার ওই গৃহবধূর বাবা-মা এবং স্বামী তাঁকে ফেরানোর জন্য জুখিয়ায় যান। সেখানে বধূকে ময়নায় ফেরানো নিয়ে দুই স্বামীর সঙ্গে তুমুল ঝামেলা বাধে।