সংবাদদাতা, দিনহাটা: আর দ্বন্দ্বের ভুল নয়, ঐক্যবদ্ধ লড়াই চাই। সিতাই বিধানসভা দিদির হাতে তুলে দিতে হবে। শাসকের শক্ত ঘাঁটি গীতালদহ এবং ওকরাবাড়িতে নির্বাচনী সভা থেকে এই বার্তাই দিলেন সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। বুধবার এই দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচনী সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। সভাগুলিতে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায় সহ অন্যরা।
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত বরাবরই তৃণমূল কংগ্রেসের গড়। একুশে বিধানসভা নির্বাচনেও জয় এসেছে এই দু’টি পঞ্চায়েতের ভোটেই। চব্বিশের লোকসভা ভোটেও সিতাই বিধানসভায় সবচেয়ে বেশি লিড এসেছে ওকরাবাড়ি থেকে। তবে এই এলাকাগুলিতে শাসকের কোন্দলের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের যুব-মাদারের লড়াই শুরু হয়। গোষ্ঠীকোন্দলে খুন হয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য আবু মিয়াঁ। অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে কোন্দল কমলেও সাংসদের কাছে নানা অভিযোগ-নালিশ জমা পড়ে। এদিন পুরনো দিনের কথা নেতাকর্মীদের স্মরণ করিয়ে দেন সাংসদ। বলেন, কোন্দল বাড়লে ১৮-র স্মৃতি ফিরে আসবে। অস্থিরতা তৈরি হবে এলাকায়। যাঁরা ডুবে ডুবে জল খাচ্ছেন, তাঁদের ওপর নজর রয়েছে। অতীতের কোন্দলের ভুল আর নয়। বরং ২০১৬-এর লোকসভা উপ নির্বাচনের চেয়ে দ্বিগুণ ভোটে জয়ী হতে হবে। সেই নির্দেশ দেন তিনি।
জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, আর কোনও কোন্দল নয়। ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। আমি একে পছন্দ করি না, সে তাঁকে পছন্দ করে না এসব শোনা হবে না। নির্বাচনে সবাইকে একসঙ্গে লড়তে হবে। নিজস্ব চিত্র।