• ৪০ ফুটের বেশি উঁচু প্যান্ডেল করা যাবে না, নির্দেশ প্রশাসনের
    বর্তমান | ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: চাঁদার জুলুমবাজি কিংবা মণ্ডপে ডিজে বক্স ব্যবহার করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে ৪০ ফুটের বেশি উঁচু প্যান্ডেল করা যাবে না। বুধবার জলপাইগুড়িতে কালীপুজোর বৈঠকে উদ্যোক্তাদের সাফ জানিয়ে দিল প্রশাসন। একইসঙ্গে পুজো কমিটিগুলিকে বলে দেওয়া হয়েছে, রাস্তা আটকে কোথাও মণ্ডপ বা আলোর তোরণ করা যাবে না। যেখানে পুজো হবে, সেই জমির মালিকের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। কোথাও বৈদ্যুতিক তার খোলা রাখা যাবে না। আচমকা পরিদর্শন চালাবে প্রশাসন। জরিমানা করা হবে। দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও অনুমতি দেওয়া হবে অনলাইনেই।

    এদিন শহরের কালীপুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার ‘প্রয়াস’ প্রেক্ষাগৃহে বৈঠক করে প্রশাসন। ছিলেন সদরের মহকুমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী সহ পুলিস, দমকল, বিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা। সেখানে মহকুমা শাসক জানিয়ে দেন, কোথাও কোনও শব্দবাজি ফাটানো হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনেক সময় অভিযোগ আসে, রাত বারোটা বেজে যাওয়া সত্ত্বেও তারস্বরে ডিজে বক্স বাজানো হচ্ছে। এমন কোনও অভিযোগ পেলেই সংশ্লিষ্ট কমিটির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাস্তা আটকে কিংবা পর্যটকদের হেনস্তা করে চাঁদার জুলুম কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনে পুজোর অনুমোদন বাতিল করে দেওয়া হবে।

    কোতোয়ালি থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত বলেন, ৪০ ফুটের বেশি উঁচু কোনও মণ্ডপ করা যাবে না। বড় পুজো কমিটিগুলিকে মণ্ডপে যথেষ্ট সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এছাড়া ব্যবস্থা করতে হবে স্বেচ্ছাসেবক ও নাইট গার্ড। রাস্তার উপর আলোর তোরণ তৈরি করা যাবে না। রাস্তা আটকে কোনও প্যান্ডেলও বরদাস্ত করা হবে না। সমস্ত পুজোর অনুমতি অনলাইনেই দেওয়া হবে। যেখানে পুজো হবে, সেই জমির মালিকের অনুমতি বাধ্যতামূলক। দমকলের আধিকারিক চন্দ্রশেখর পাণ্ডে বলেন, মণ্ডপে যে ইলেকট্রিশিয়ান দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর সার্টিফিকেট পুজোর অনুমতির আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, আগুন নেভানোর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকের নাম দমকলের কাছে জমা দেওয়া হয়, কিন্তু পুজোর সময় গিয়ে দেখা যায়, সেই স্বেচ্ছাসেবকের অনেকেই নেই। খোঁজ করেও তাঁদের পাওয়া যায় না। এটা যেন না হয়।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)