নেশাখোরদের আখড়া রেল কলোনি, বহিরাগতদের দাপটে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা
বর্তমান | ২৪ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: সকাল থেকে অপরিচিত মুখের আনাগোনা। বেলা গড়ালে সেই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ে। সন্ধ্যার পর অলিগলিতে ছোট ছোট জমায়েত। তারপর থেকে চলে দেদার মদ-গাঁজার নেশা। এনজেপি সংলগ্ন রেল কলোনি এভাবেই হয়ে উঠেছে নেশাখোরদের নিরাপদ আস্তানা। সকাল-সন্ধ্যা এদের অত্যাচারে পাড়ার বাসিন্দাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। প্রতিবাদ করলে পাল্টা ‘থ্রেট’ দেয় নেশাখোররা। কলোনির যুবতীদের উদ্দেশ্যে কটূক্তি চলে হামেশাই। অবশ্য পুলিস টহল দিতে এলে এলাকাছাড়া হয় মাদকাসক্তরা। কিন্তু পরেরদিন আবার একই চিত্র ফিরে আসে এই রেল কলোনিতে।
এনজেপি সংলগ্ন এই রেল কলোনি শহরের অন্যতম পুরনো কলোনি। শিলিগুড়ি শহরের একপ্রান্তে অবস্থিত এই কলোনিতে রেলকর্মীরা থাকেন। তাঁদের জন্য রয়েছে সারি সারি কোয়ার্টার। কলোনিতে রয়েছে একাধিক গলি। সেখানে পথবাতিও বসানো হয়েছে। তবে নেশাখোররা বেশকিছু পোলের বাতি ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কলোনির কৈলাস মাঠ কার্যত নেশাখোরদের মূল আস্তানা হয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যের পর থেকে এই মাঠেই বহিরাগত যুবকরা ভিড় করে। শুধু তাই নয়, কলোনির গলিতে নেশা করার জন্য বেশকিছু পথবাতিও ভেঙে দিয়েছে ওরা। কোয়ার্টারের গেটের সামনে বা বেড়ার সামনে বসেই মদ, গাঁজা সহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাসিন্দাদের উদ্দেশে চলে গালিগালাজ। বাসিন্দারা যে প্রতিবাদ করেননি, তা নয়। তবে পাল্টা থ্রেট দিয়ে তেড়ে আসে মাদকাসক্তরা।
এদের বাড়বাড়ন্তে কলোনির বাসিন্দারা কার্যত বিরক্ত। গেট বাজার থেকে কলোনির ভিতরে এগতে থাকলে পরপর কিছু পরিত্যক্ত কোয়ার্টার রয়েছে। সেগুলিতেও নেশার আসর বসাচ্ছে এই বহিরাগতরা। এদের তাণ্ডব বন্ধ করতে নিয়মিত পুলিসি টহলদারি চেয়েছেন বাসিন্দারা। এই ব্যাপারে এনজেপি থানার এক অফিসার জানান, রেল কলোনিতে প্রায়ই পুলিসভ্যান টহল দেয়। লিখিত কোনও অভিযোগ আসেনি। তবে কোনওভাবেই সেখানে নেশার আসর বরদাস্ত করা হবে না। কলোনির বাসিন্দাদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে। এই মাঠেই নেশার আসর বসে বলে অভিযোগ।- নিজস্ব চিত্র।