নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: প্রায় সাত লাখ টাকার জাল নোট সহ গ্রেপ্তার হল এক যুবক। ধৃত বিশ্বজিৎ মণ্ডল (৪০) মালদহ জেলার বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার বাসিন্দা। ধৃতের বিরুদ্ধে ১৭৯/১৮০ বিএনএস ধারায় মামলা রুজু করেছে ইংলিশবাজার থানার পুলিস।
মালদহের পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার বলেন, প্রায় সাত লক্ষ টাকার জাল নোট সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
পুলিস ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এক ব্যক্তি কয়েক লক্ষ টাকার জাল নোট সাপ্লাই করতে যাবে। ইংলিশবাজার থানায় মঙ্গলবার রাতে গোপন সূত্র মারফত এই খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে ইংলিশবাজার থানার আধিকারিকদের নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী রওনা হয় জাতীয় সড়কের দিকে। পুলিস জানতে পারে, ওই ব্যক্তির সঙ্গে একটি বাইক আছে। তার নম্বর ও বিবরণ পুলিসকে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী ইংলিশবাজার থানার পুলিস ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের সুস্থানি মোড়ে একটি পাঞ্জাবি ধাবার সামনে অপেক্ষা করতে থাকে। কিছুক্ষণ পরেই তাঁদের নজরে আসে এক বাইক আরোহী। পুলিস তাকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে শুরু করে। পুলিস বাইকের তল্লাশি শুরু করলে প্রচুর জাল নোট উদ্ধার হয়।
পুলিস প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির কাছ থেকে মোট ৬ লক্ষ ৮৩ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে। যুবককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। উদ্ধার হওয়া প্রত্যেকটি নোট ছিল ৫০০ টাকার। এরপর পুলিস পরীক্ষা করে জানতে পারে সমস্ত নোটই নকল। এছাড়াও ধৃতের কাছ থেকে একটি মোবাইল ও বাইক উদ্ধার করেছে পুলিস। মোবাইলের কল ডিটেলস পরীক্ষা করে এই চক্রের আরও কয়েকজন সদস্যের নাম উঠে আসতে পারে বলে মনে করছে পুলিস।
ধৃত বিশ্বজিৎ জানায়, মালদহ জেলার বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার এক ব্যক্তি তাকে ওই জাল নোটগুলি দিয়েছিল। জেলার সাহাপুরে এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছিল তাকে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিকভাবে এটুকুই তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, জাল নোট পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশ্বজিৎকে মোটা টাকার প্রলোভন দেখিয়েছিল জালনোট কারবারিরা। শুধুই কি মোটা টাকার বিনিময়ে সে বিপুল জাল নোট সাপ্লাই করছিল? নাকি সে জাল নোট চক্রের অন্যতম সদস্য। সেসব তদন্ত করে দেখছে পুলিস। ধৃতকে বুধবার আদালতে তোলা হলে পাঁচদিনের পুলিস হেফাজতে পাঠান বিচারক। জাল নোট সহ ধৃত। - নিজস্ব চিত্র।