সংবাদদাতা, দিনহাটা: ২০১১-তে ক্ষমতা চলে গিয়েছে। কমে গিয়েছে সেই জৌলুসও। জেতার ইচ্ছা খুইয়ে লড়াইয়ে টিকে থাকার চেষ্টায় এখন বামেরা। সিতাই উপ নির্বাচনে বুধবার মনোনয়ন জমা দিয়েছে তারা। বামফ্রন্ট সমর্থিত ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী অরুণকুমার বর্মা। প্রার্থী জেতার আশাবাদী হলেও আলো দেখছে না নেতৃত্ব। বরং সিতাইয়ে বিজেপিকে সরিয়ে বিরোধীর আসনে আসতে চাইছে ফরওয়ার্ড ব্লক। বামপ্রার্থী অরুণকুমার বর্মা বলেন, মনোনয়ন জমা দিলাম। মানুষ আশীর্বাদ করলে অবশ্যই জয়ী হব। যদিও ফরওয়ার্ড ব্লকের এই ইচ্ছে দিবাস্বপ্নই রয়ে যাবে বলে কটাক্ষ বিজেপির। সববিরোধী প্রার্থীরই জমানত বাজেয়াপ্ত হবে বলে তৃণমূলের দাবি। ফরওয়ার্ড ব্লকের কোচবিহার জেলা সভাপতি দীপক সরকার বলেন, সিতাইয়ের মানুষ তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী। সন্ত্রাস না করলে তৃণমূল জয় পায় না। বিজেপিকে কেউ ভোট দেবে না। বিজেপি এবার তৃতীয় স্থানে থাকবে। বিজেপিকে সরিয়ে বিরোধী জায়গা দখল করবে বামেরা। এর পাল্টা তোপ দেগে কোচবিহার জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা সিতাই বিধানসভার অবজারভার অভিজিৎ বর্মন বলেন, রাজ্যের রাজনীতিতে বামেদের কোন স্থান নেই। শাসকের সন্ত্রাসের জবাব দেবে সাধারণ মানুষ। বিজেপিকে সরিয়ে বিরোধী স্থানে বামেদের আসা স্বপ্ন দিবাস্বপ্নই থাকবে। সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারলে আমরাই জয়ী হব।
২০১১ সালের রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলে সিতাই আসনে জয়ী হয় কংগ্রেস। ২০১৬ ও ২০২১ সালে তৃণমূল জয়ী হয়। ২১ সালে বামেদের সরিয়ে বিরোধী হয় বিজেপি। তবে বিরোধীদের যাবতীয় দাবি উড়িয়ে প্রাক্তন বিধায়ক কথা সাংসদ জগদীশ বসুনিয়া বলেন, সিতাই বিধানসভার মানুষ বরাবরই তৃণমূলকে আশীর্বাদ করছেন। বিরোধীদের কোনও স্থান নেই এই বিধানসভায়। সমস্ত বিরোধী দলের প্রার্থীর জমানত বাজেয়াপ্ত হবে। দেশের মধ্যে রেকর্ড হবে এবারের সিতাই নির্বাচনের ফল।