• মিরিকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হেলিপ্যাড, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে চালু হচ্ছে হেলিকপ্টার পরিষেবা
    বর্তমান | ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি ও সংবাদদাতা, দার্জিলিং: এবার কপ্টারে চেপে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন! সিকিমের পর দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে চালু হচ্ছে হেলিকপ্টার পরিষেবা। এজন্য তিনটি হেলিপ্যাড তৈরির উদ্যোগ রাজ্য সরকারের। ইতিমধ্যে মিরিকের হেলিপ্যাডে ট্রায়াল রান হয়েছে। এনিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত পর্যটক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বক্তব্য, ধস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে রাস্তা বন্ধ থাকলেও হেলিকপ্টারে চেপে পাহাড় ভ্রমণে যেতে পারবেন পর্যটকরা। 

    দার্জিলিংয়ের আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক সোনম লেপচা বলেন, পাহাড়ে হেলপ্যাডগুলির তৈরির ডিপিআর তৈরি হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই অনুমোদিত প্রকল্পগুলি নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া হবে। দেড় থেকে দু’বছরের মধ্যে পাহাড়ে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করা হবে। 

    দার্জিলিং পাহাড়ে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালুর দাবি বহুদিনের। প্রায় দু’দশক আগে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হন দার্জিলিং-গোর্খা হিল কাউন্সিলের তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবাস ঘিসিং। তিনি সুখিয়াপোখরি ব্লকের দুতেরিয়াতে হেলিপ্যাড তৈরির চেষ্টা করেও সফল হননি। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    প্রশাসন সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রায় এক একর জমি রয়েছে। সেখানে হেলিপ্যাড তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য পাহাড় কেটে জমি হেলিপ্যাডের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। মিরিকে ইতিমধ্যে হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। ছ’মাস আগে অসামরিক বিমান প্রতিরক্ষামন্ত্রকের আধিকারিকরা দু’টি এলাকাই পরিদর্শন করেন। হেলিকপ্টার ওঠা-নামার পক্ষে উপযোগী কি না, সেজন্য ওই টিম দু’টি জায়গারই মাটি পরীক্ষা করেছে। হেলিকপ্টার পরিষেবা চালুর ব্যাপারে তাদের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেতও মিলেছে। ইতিমধ্যে মিরিকে পরীক্ষামূলকভাবে হেলিকপ্টার চালানো হয়েছে। বর্তমানে জরুরি ভিত্তিতে সেখানে হেলিকপ্টার নামতে পারবে। কালিম্পংয়েও তৈরি করা হবে এ ধরনের একটি হেলিপ্যাড। 

    সিকিমে অনেকদিন ধরেই হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু রয়েছে। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে গ্যাংটকে হেলিকপ্টারে যাতায়াত করা যায়। একইভাবে বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে পর্যটকরা হেলিকপ্টারে করে দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ে যেতে পারবেন। স্থানীয়রা বলেন, প্রাকৃতি দুর্যোগের জেরে চলতি বছর দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল কালিম্পং ও সিকিমের লাইফ লাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। যার জেরে কালিম্পং ও সিকিমের পর্যটন ব্যবসা, গ্রামীণ অর্থনীতি, সেনাবাহিনীর কাজকর্ম মার খায়েছে। কাজেই হেলিকপ্টার পরিষেবা চালুর পর পাহাড় ও সমতলের যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে। ট্যুর অপারেটর সম্রাট সান্যাল বলেন, কপ্টার চালুর পর পর্যটন ব্যবসারও প্রসার হবে। পর্যটকরা হেলিকপ্টারে চেপে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন করতে পারবেন। 

    এদিকে, সিকিম ও কালিম্পংগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রাস্তা দিয়ে সবধরনের যানবাহন চালাচলের অনুমতি দিয়েছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন। বুধবার তারা এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তবে গোরুবাথানের পান্ডারা থেকে ঋষভগামী রাস্তায় ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।  
  • Link to this news (বর্তমান)