খালি করা হল বকখালি ও সুন্দরবনের হোটেল, শুনশান কপিল মুনির আশ্রমও
বর্তমান | ২৪ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় এবার খালি করে দেওয়া হল বকখালি এবং সুন্দরবনের বিভিন্ন হোটেল। বুধবার বিকেল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কোনও বুকিং নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। সেইমতো এদিন সকালেই প্রত্যেক পর্যটককে চলে যেতে বলেন হোটেল মালিকরা। বকখালিতে এমনিতেই খুব বেশি পর্যটকের ভিড় ছিল না। যাঁরা ছিলেন সবাই বিকেলের মধ্যে ফিরে গিয়েছেন। বকখালি সমুদ্র সৈকত দিনভর খাঁ খাঁ করছিল। সুন্দরবনে তুলনামূলক পর্যটকদের সংখ্যা ছিল বেশি। তাঁদের অনেকেরই বুকিং এই সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত ছিল। কিন্তু দুর্যোগের জেরে হোটেল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ আসতেই বুকিং ক্যান্সেল করে তাড়াতাড়ি এদিন চেক আউট করে বেরিয়ে যান তাঁরা।
এদিকে, কাকদ্বীপ, সাগর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বিকেল থেকে শুরু হয় ঝিরঝিরে বৃষ্টি। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের ঘর গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। তাঁরা মোটা দড়ি দিয়ে টালির ও টিনের চাল শক্তপোক্ত করে বেঁধে ফেলেন। পিচ রাস্তার দু’ধারে থাকা অস্থায়ী ব্যবসায়ীরাও দোকানের জিনিসপত্র গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। নিচু এলাকা থেকে লোকজনকে ফ্লাড শেল্টারে সরানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। সাগরের পাশাপাশি ডায়মন্ডহারবার ও রায়চক থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের কুকড়াহাটি যাওয়ার ফেরি পরিষেবা আগামী দু’দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গঙ্গাসাগরের সমুদ্র সৈকতও সম্পূর্ণ ফাঁকা ছিল। কপিলমুনি মন্দিরের দরজা খোলা থাকলেও পুণ্যার্থী দেখা যায়নি। মন্দিরের পুরোহিত পূরণ দাস বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে মন্দির ফাঁকা রয়েছে। দুর্যোগের কারণে পুণ্যার্থীরা ফিরে গিয়েছেন।’ এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ গঙ্গাসাগরে এসে পৌঁছয় এনডিআরএফের একটি টিম। বাসন্তীর হোগল নদীর বাঁধ পরিদর্শন করেন বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। ভাঙনপ্রবণ এলাকায় নদীর বাঁধগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য সেচদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুলতলিতে বিধায়ক গণেশ মণ্ডলও বাঁধ পরিদর্শন করেন।