নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতা ও বরানগর: মেয়ের সামনেই মরণ ঝাঁপ মায়ের। বুধবার সকালে চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনে বরানগরের গৃহবধূর মর্মান্তিক মৃত্যু হল। মৃতের নাম রত্না দাস (৩৪)। বরানগর পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের রায় যতীন্দ্রনাথ চৌধুরী লেনের বাসিন্দা তিনি। স্বামীর নাম সন্দীপ দাস। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার জেরে প্রায় এক ঘণ্টা মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হয়। যদিও ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ, বিকেল চারটের পর পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রত্নাদেবীর বছর পাঁচেকের মেয়ে লরেটো স্কুলের ছাত্রী। এদিন সকালে তিনি মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ঘটনার সময় তাঁর মেয়ে মেট্রো স্টেশনের বেঞ্চে বসেছিল। আরও এক স্কুল পড়ুয়া ও তার মা ছিল। তিনি বেঞ্চে থেকে উঠে গিয়ে লাইনের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। ১০টা ৫৪ মিনিট নাগাদ দক্ষিণেশ্বরগামী মেট্রো ঢুকতেই তিনি আচমকা লাইনে ঝাঁপ মারেন। চালক ইমার্জেন্সি ব্রেক কষলেও শেষরক্ষা হয়নি। এরপর মেট্রো পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় আধঘণ্টা পর কবি সুভাষ থেকে ময়দান ও দক্ষিণেশ্বর থেকে গিরিশ পার্ক লাইনে আংশিক মেট্রো চালানো হয়। ময়দান থেকে গিরিশ পার্ক লাইনে মেট্রো পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, থার্ড লাইনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে মহিলার ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধারের পর ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়। যদিও ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ, ১২টা নাগাদ মেট্রো চলাচল শুরু হলেও তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরে বিকেল চারটেয়। তার আগে তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হয়।
মৃতার স্বামী সন্দীপ দাস মুহুরির কাজ করেন। এই ঘটনায় তিনি শোকে মূহ্যমান। তাঁদের একমাত্র মেয়ে এই ঘটনায় বাকশূন্য হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে রত্নাদেবীর মনোমালিন্য চলছিল। সম্প্রতি সেই অশান্তি বেড়েছিল। কাউন্সিলার অমর পাল বলেন, ওই পরিবার এলাকায় খুবই পরিচিত। আমার সঙ্গেও তাঁদের সুসস্পর্ক রয়েছে। এমন ঘটনা ঘটবে ভাবতে পারিনি।