সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: উম-পুন, যশ, রেমালের পর এবার ঘূর্ণিঝড় ডানার আতঙ্কে এখন দিশাহারা হাওড়া জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গাদিয়াড়ার নদী পাড়ের বাসিন্দারা। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব কতটা হতে পারে, তা এখনও স্পষ্ট নয় বাসিন্দাদের কাছে। ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়েছে তাঁদের। এর মধ্যেই আতঙ্কে ভুগছেন গাদিয়াড়ার শিবপুর এলাকার মাঝি ও মৎস্যজীবীরা। বুধবার দুপুরে নদীর পাড়ে নৌকা বেঁধে বাড়ি চলে এলেও মাঝে মধ্যেই তাঁরা ছুটে যাচ্ছেন নদীর পারে। তাঁদের কথায়, যেভাবে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার কথা বলা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে আমাদের নৌকার ক্ষতি হবে। এদিন দুপুরে কথা হচ্ছিল শিবপুরের বাসিন্দা নরেন্দ্রনাথ সামন্তর সঙ্গে। তিনি নৌকায় করে মাটি, বাঁশ, ছোটখাট মালপত্র নিয়ে যান নদীপথে। তাঁর কথায়, উম-পুনের সময় ঘাটে বেঁধে রাখা ছ’টি নৌকা ডুবে গিয়েছিল। ডুবেছিল তাঁর নিজের নৌকাও। অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। নরেন্দ্রনাথ বলেন, ধার দেনা করে নতুন নৌকা তৈরি করেছি। খবরে শুনেছি, যেভাবে ঘূর্ণিঝড় আসছে, তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এমনিতেই এখন সেভাবে কাজ নেই, তার উপরে যদি নৌকার বড়সড় ক্ষতি হয়, তখন সারাব কী করে? এই চিন্তায় ঘুম উড়েছে তাঁর। ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হলে সরকারকেই পাশে এসে দাঁড়াতে হবে। মাঝিমাল্লাদের সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ নৌকাজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক উত্তম রায়চৌধুরী বলেন, আমরা সব মাঝিকে সতর্ক করে দিয়েছি। ঝড়ে নৌকার ক্ষতি হলে আর্থিক ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় চরম সমস্যার মুখে পড়েন তাঁরা। সেকারণে আমরা নৌকার মালিকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। -নিজস্ব চিত্র