• বাজারে বিক্রি হবে চকোলেট বোমা? ভাগ্য নির্ধারণ আজ
    বর্তমান | ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আজ পরীক্ষায় বসছে চকোলেট বোমা। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠবে। না হলে বহালই থাকবে। বাজির শব্দসীমার নয়া নিয়মের পরিবর্তন হয়েছে। ৯০ ডেসিবেলের পরিবর্তে বেড়ে হয়েছে ১২৫। বাজি প্রস্তুতকারদের দাবি, চকোলেট বোমার শব্দমাত্রা ১০০ থেকে ১১৫ ডেসিবেলের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। তাঁদের দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে চকোলেট বিক্রির ছাড়পত্র পেয়ে যাবেন বিক্রেতারা। আজ টালা পার্কে সকাল ১১টা থেকে বাজি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে ১৫ ধরনের বাজির পরীক্ষা হবে। সেই তালিকায় সর্বপ্রথমেই রয়েছে চকোলেট বোমা।

    মঙ্গলবার পুলিস ট্রেনিং স্কুলে বাজি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক হয় লালবাজারের। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দমকল, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকরাও। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, কলকাতায় বাজি বিক্রির আগে এবার কোনও পরীক্ষা হবে না। তবে পরে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও নিরি’র যৌথ আলোচনায় ঠিক হয় লালবাজারের রিজার্ভ ফোর্সের পুলিস আধিকারিকদের সামনে পরীক্ষা করে দেখা হবে বাজি। সেই মতো আজ, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় টালা পার্কে শুরু হবে পরীক্ষা। থাকবেন রিজার্ভ ফোর্সের ডেপুটি কমিশনার, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, দমকল ও নিরি’র বিশেষজ্ঞরা। সেখানে পাশ করলে চকোলেট বোমা বিক্রি হতে পারে খোলা বাজারে। যে ১৫ ধরনের বাজির পরীক্ষা হবে তার প্রথমেই রয়েছে চকোলেট। এছাড়াও শেল, শট, চুটপুট সহ একাধিক আতসবাজি ও শব্দবাজির বৈধতা পরীক্ষাও হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও আজই ঘূর্ণিঝড় ডানার কারণে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে শহরে। ফলে বাজি পরীক্ষার সময় বৃষ্টি হলে প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে কলকাতায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় পরীক্ষকরা।

    বাজি প্রস্তুতকারকদের বক্তব্য, শব্দমাপক যন্ত্রে ১০০ থেকে ১১৫ ডেসিবেল পর্যন্ত পৌঁছে যায় চকোলেটের শব্দ। রাজ্যে এতদিন পর্যন্ত বাজির সর্বোচ্চ শব্দসীমা ছিল ৯০ ডেসিবেল। সেই নিরিখে চকোলেট বোমা নিষিদ্ধ বাজির তালিকায় ছিল। এবার প্রস্তুতকারকদের অনুমান, বাজির সর্বোচ্চ শব্দসীমা ১২৫ ডেসিবেল হয়ে যাওয়ায় চকোলেট বোমা সহ একাধিক শব্দবাজি ছাড়পত্র পেতে পারে। ফলে আশা জেগেছে তাঁদের মধ্যে। অন্যদিকে এই খবরে প্রবল আশঙ্কায় সাধারণ মানুষের একটি বড় অংশ। চকোলেটের কান ফাটানো শব্দ অনেকের কাছেই আশঙ্কার কারণ। পাশাপাশি জন্তুদেরও আতঙ্কিত করে বাজির ভয়ানক আওয়াজ। চকোলেট ছাড়পত্র পেলে এ বছর শব্দদূষণ অন্য মাত্রায় পৌঁছবে বলে আশঙ্কা ।
  • Link to this news (বর্তমান)