মনোনয়নপত্র জমা, হাড়োয়ায় জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল ও বিজেপির প্রার্থী
বর্তমান | ২৪ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত ও সংবাদদাতা, বসিরহাট: ১৩ নভেম্বর নির্বাচন হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রে। তার আগে বুধবার বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই মনোনয়নপত্র জমা দিলেন এই উপনির্বাচনের তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থী। মিছিল সহযোগে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মনোনয়ন জমা করেছেন তৃণমূলের শেখ রবিউল ইসলাম ও বিজেপির বিমল দাস। দুই প্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। রবিউলের মনোনয়নে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু, সাংসদ পার্থ ভৌমিক প্রমুখ। অন্যদিকে বিমলবাবুর মনোনয়নে হাজির ছিলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।
প্রথমে মহকুমা শাসকের অফিস লাগোয়া এলাকায় মিছিল করে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী রবিউল। তিনি বলেন, আমি জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। অন্যদিকে মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপি অনেক কিছুই করেছিল। কিন্তু আমাদের দলের প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম প্রায় তিনলক্ষেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন। আর হাড়োয়া কেন্দ্র থেকে থেকে জিতেছিলেন এক লক্ষের বেশি ভোটে। এবার আমরা আশাবাদী, এই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস বলেন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে আমি জিতে যাব। মানুষের যেভাবে আশীর্বাদ পাচ্ছি, তা জয়ের ইঙ্গিত।
তবে ভোট ঘোষণা হতেই হাড়োয়া বিধানসভা জুড়ে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও বেশি করে প্রকাশ্যে আসছে। এবার তৃণমূল ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বারাসত ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মেহেদি হাসান। তাঁর অভিযোগ, ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শম্ভু ঘোষ নিজের ইচ্ছামতো দল চালাচ্ছেন। এলাকার পুরানো নেতাদের তিনি গুরুত্বই দিচ্ছেন না। একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয়, দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়, ৪০ বছরের উপরে কাউকে যুব সভাপতি করা হবে না। কিন্তু বারাসত ২ ব্লকে সেই নিয়ম কার্যকর হয়নি। তিনি বা কর্মীদের একটি বড় অংশ প্রার্থীকে মেনে নিতে পারেননি বলেও অভিযোগ করেছেন মেহেদি। এ বিষয়ে শম্ভু ঘোষকে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, মেহেদি সমস্যার কথা দলের ভিতরে বলতে পারতেন। এভাবে প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁর মুখ খোলা উচিত হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অভিমান থাকতে পারে।