নিরুফা খাতুন: অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত ‘ডানা’। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত বাংলা, ওড়িশা। হাওয়া অফিসের শেষ খবর মোতাবেক, সমুদ্রে ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে ‘ডানা’। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে প্রবল বেগে উপকূলে আঘাত আনবে ঘূর্ণিঝড়টি।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পারাদ্বীপের দক্ষিণ-পূর্বে ২৮০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ‘ডানা’। ঘূর্ণিঝড়টি ধামরা থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। সাগরদ্বীপ থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ‘ডানা’। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামরার মাঝে ল্যান্ডফল করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার। কলকাতায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
বাংলাতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা না থাকলেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও দুই ২৪ পরগণায় সবচেয়ে ক্ষতির হওয়ার আশঙ্কা। বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি জেলায় সর্তকতা জারি করা হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, স্থলভাগে আঘাত আনার পর ধীরে ধীরে শক্তি হারাবে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। নিম্নচাপে পরিণত হয়ে এগিয়ে যাবে। রাজ্যে শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে।
‘ডানা’র প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখছে না রাজ্য প্রশাসন। উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সমুদ্রে যাতে কেউ না নামতে পারে সেই দিকে কড়া নজর রয়েছে প্রশাসনের। তৈরি রাখা হয়েছে ডাক্তারদের বিশেষ দল। প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সও। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে নবান্নে চালু করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। একাধিক জেলাতেও খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।