• 'উনি নার্ভাস হয়ে গিয়েছেন,' রাজ্যপালকে তীব্র কটাক্ষ ব্রাত্যর, কেন?
    আজ তক | ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • রাজ্যের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ বললেন, 'রাজ্যপাল নার্ভাস হয়ে গিয়েছেন। উনি ভাবছেন পুরোটা সরকারের হাতে যাবে৷ উনি ঠিকই ভাবছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীই উপাচার্য ঠিক করবেন, ওনার কোনও এক্তিয়ার নেই৷' বোলপুরে জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের আহ্বানে বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিতে আসেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রাত্য বসু স্পষ্ট জানালেন, 'রাজ্যপালের ভিসিকে আমরা মানি না।'

    ঘূর্ণিঝড় দানার ভ্রূকুটিতে বুধবার বিকেল থেকেই কালো মেঘে ঢেকেছে আকাশ৷ অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে৷ বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বোলপুরে মুলুকে তৃণমূলের তরফে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন  রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়জুল হক ওরফে কাজল শেখ, বোলপুরের সাংসদ অসিত কুমার মাল, নানুরের বিধায়ক বিধান মাঝি-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে রাজ্যের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের প্রতিনিধি, উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার দায়িত্বে রয়েছেন। যাদের মাথায় রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ইউইউ ললিত। বিজয়া সম্মিলনীর সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। নিয়োগে রাজ্যপালের সহযোগিতা কতটা পাচ্ছেন? প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "রাজ্যপাল সহযোগিতা করেননি বলেই সুপ্রিম কোর্টে তত্ত্বাবধানে সার্চ কমিটি গঠন হয়েছে ও উপাচার্য নিয়োগ চলছে। এটা মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না৷ আজকেও উনি একটা ট্যুইট করেছেন৷ বোঝাই যাচ্ছে রাজ্যপাল নার্ভাস হয়ে গিয়েছেন। উনি ভাবছেন পুরোটা সরকারের হাতে যাবে৷ উনি ঠিকই ভাবছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীই উপাচার্য ঠিক করবেন, ওনার কোনও এক্তিয়ার নেই৷"

    বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোনও দফতরে স্থায়ী নিয়োগ নেই৷ এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "দু'বছর এখানে কোনও ভিসি ছিল না৷ মানে আমাদের সরকারের ভিসি৷ রাজ্যপালের ভিসি আমরা মানি না। তাই নতুন ভিসি নিয়োগ হলেই সব পদে নিয়োগ হবে।"

    পাশাপাশি আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে বেশ আত্মবিশ্বাসী শোনায়। সেটা কি বিজয়া সম্মিলনীতে দলীয় কর্মীদের ভিড় দেখে? দুর্যোগের মধ্যেই বিজয়া সম্মিলনীতে কর্মীদের ভিড় এবং আসন্ন উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বলতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "এই ভিড় তৃণমূলের যেকোনও সম্মেলনেই হয়। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপর আস্থা রাখছে। ভোটে জেতা-হারা বড় কথা নয়। সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।" পাশাপাশি বীরভূমে এসেও অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা না করা প্রসঙ্গে জানান, এবার তাঁর কেষ্টর সঙ্গে সাক্ষাতের কোনও কর্মসূচি নেই।
  • Link to this news (আজ তক)