সমুদ্র ভাঙন পরিদর্শন করলেন এলাকার বিধায়ক অখিল ও মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী। এই ভাঙনের পেছনে রয়েছে তাজপুর জলধার বিস্তীর্ণ এলাকা প্রায় পাঁচটি গ্রাম ও পর্যটন শিল্প। আপদকালীন কিছু যদি করা যায় সেই জন্য এলাকা পরিদর্শন করছেন মন্ত্রী ও সেচ দফতরের আধিকারিকরা। তাজপুরের জলধা এই এলাকায় সমুদ্রের কাছের দোকানপাট সমস্ত খালি করে ফেলা হয়েছে।
পর্যটন কেন্দ্রের হোটেলগুলি থেকে পর্যটকদের সরিয়ে ফেলা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের এই সকল গ্রামগুলি থেকে সরিয়ে রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উপকূলের এই এলাকাটি সবচেয়ে নিচু এলাকা। এখানে ব্ল্যাক স্টোন ফেলা হলেও রক্ষা করা যাচ্ছে না ভাঙন। এই গ্রামগুলিতে অধিকাংশই মৎস্যজীবীদের বসবাস। সমুদ্র থেকে তারা মাছ ধরা বন্ধ করে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞায় ফিরে এসেছেন।
কিন্তু তারা জানাচ্ছেন ফিরে এসেও তাদের নিস্তার নেই অহরহ আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। তাদেরকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হলেও তাদের ঘরবাড়ি স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি সব ঝড়ে এবং বানের জলে বিলীন হয়ে যেতে পারে। অনেক ঝড় যাচ্ছে তাদের মাথার উপর দিয়ে স্থায়ী ব্যবস্থার দাবি জানাতেন তারা।
এলাকার মৎস্যজীবী রমেন বর জানাচ্ছেন, জলধায় তাদের প্রায় ৮০০ মানুষের বসবাস। যেভাবে সমুদ্র থেকে তাদেরকে প্রশাসন ফিরিয়ে আনলো তাদের জীবন রক্ষার কথা ভেবে কিন্তু এই জলধা গ্রামের এতগুলো মানুষের জীবন রক্ষার জন্য বছর বছর কেটে যাচ্ছে প্রশাসন কোন কিছুই ব্যবস্থা নিচ্ছে না। একই কথা জানালেন জলধা গ্রামের লক্ষী বর্মন,বরেন প্রধান, রঘুনাথ মাইতিরা।