ঝড়ের আগে হাজির কান্তি, রায়দিঘির বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শন প্রাক্তন মন্ত্রীর
এই সময় | ২৪ অক্টোবর ২০২৪
দানা ঘূর্ণিঝড়ের আগেই রায়দিঘির প্রত্যন্ত এলাকা পরিদর্শন রাজ্যের প্রাক্তন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের। ঘুরে দেখলেন নদী বাঁধ এলাকা। কথা বললেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে।বৃহস্পতিবার বিকেলে রায়দিঘির কুমড়োপাড়ার নদী তীরবর্তী এলাকায় গিয়ে এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় দানা সতর্কতায় সচেতন ও করেন সাধারণ মানুষদেরকে। কান্তি বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়ের আগে প্রতিবারই আমি থাকি। যদি রাতে ঝড় আসে কী হবে? পূবে হাওয়া বইলে নদী বাঁধ টপকে জল ঢুকবে। নদী বাঁধ ভাঙবে।'
তাঁর দাবি, বাঁধের কাজ সেচ দপ্তর করে। ১০০ দিনের কাজে নদী বাঁধে মাটি দেওয়া হয়। গত চার-পাঁচ বছর ধরে সেই মাটি দেওয়া হয়নি। আয়লা, আমফান, ইয়াসের মতো ঘূর্ণিঝড় সামলেছে সুন্দরবন এলাকা। এবারেও আতঙ্কে রয়েছেন সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ এলাকায় বেহাল নদী বাঁধ পরিদর্শন করতে যান মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাপি হালদার। এলাকায় পৌঁছে বেহাল নদী বাঁধ দেখে সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের দ্রুত মেরামত করার নির্দেশ দেন তিনি। সাংসদ জানান, দুর্যোগ মিটলেই দ্রুততার সঙ্গে এই এলাকায় নদীবাঁধ মেরামত করা হবে।
ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসের পর থেকেই ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন কবলিত এলাকায় মাইকে এলাকাবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে। নীচু এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে ফ্লাড সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার কাজ গতকাল থেকেই শুরু করা হয়েছে। উপকূল তীরবর্তী এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের।