আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। এখন চলছে মনোনয়ন। নির্বাচনকে ঘিরে জোর কদমে প্রচার শুরু করেছে সব রাজনৈতিক দল। তবে সম্প্রতি আরজি কর কাণ্ডকে ঘিরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অনেকটাই ব্যাক ফুটে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে উপভোটে সবকটি আসনে জয়ী হওয়াটা শাসক দলের পক্ষে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেছেন, যতই আন্দোলন হোক না কেন উপ নির্বাচনে আরজি করের ঘটনা কোনও ফ্যাক্টর হবে না।
নানুর বিধানসভার অন্তর্গত বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয় মুলুক বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মাঠে। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখান থেকে এমনই দাবি করেছেন ব্রাত্য বসু। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং অতীতের অন্যান্য নির্বাচনের উদাহরণ টেনে ব্রাত্য বসু দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘জুনিয়রদের বুঝিয়ে, নিজের সন্তানদের মতো ডেকে তিনি এই আন্দোলনের শুধু মোকাবিলাই করেননি, তিনি এই আন্দোলনকে শান্ত করেছেন।’
এরপর অতীতের ভোটের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘২০১৬-র বিধানসভা ভোটের আগে নারদা মামলা এবং সারদা মামলা সামনে এসেছিল। তারপরে ২০১১ সালের থেকে ২০১৬ তে বিধানসভা ভোটে বেশি আসন পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে অনেকে দল ছেড়ে চলে যায়। তারপরে ২০২১ সালে আমরা বেশি আসন নিয়ে জিতেছি। আর ২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে দুর্নীতি, সন্দেশখালি, চাকরি চুরি এইসব বিষয় সামনে আসে। বিজেপি দাবি করেছিল তারা ৩৫ টা আসন পাবে। কিন্তু, গতবারের থেকে ২০২৪ সালে লোকসভায় আমরা বেশি আসন পেয়েছি।’ এরপরে ব্রাত্য বসু দাবি করেন, ‘তাই আমি বলছি এই আরজি করের ঘটনার পরেও আমরা উপনির্বাচনে ৬টি আসনেই জিতব। আমরা গণ সমর্থনের জন্য জিতব।’
অন্যদিকে, ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে উত্তর প্রদেশের সঙ্গে তুলনা বলেন, ‘সেখানে ডাক্তারদের আন্দোলন করার কোনও ক্ষমতা নেই। কারণ লাঠি মেরে পুলিশ ঠ্যাং ভেঙে দেবে। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনকে সম্মান করেন।’এদিন বিজেপিকেও তীব্র আক্রমণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও নিশানা করেন বিজেপিকে।