• জয়গাঁ কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ধৃতদের, কীভাবে পুড়ল দেহ, জানলে আঁতকে উঠবেন
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁয় নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, খুনের দিন নয়, প্রমাণ লোপাট করতে নাবালিকার দেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল গত শনিবার। মূল অভিযুক্তের ২ সহযোগী এই কাজ করেছিল বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছে জয়গাঁবাসী।

    জয়গাঁয় নাবালিকার দেহ উদ্ধার করতে পুলিশের ৭ দিন কেন সময় লাগল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। প্রশ্নের মুখে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সাত দিন আগে চাউমিন কিনে দেওয়ার নাম করে নাবালিকাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে অভিযুক্ত। এর পর শহরের পাশে এক পরিত্যক্ত গোডাউনে তাকে নিয়ে যায় সে। পথে দেখা হয়ে যায় অন্য ২ অভিযুক্তের সঙ্গে। গোডাউনে নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর প্লাস্টিকে দেহ মুড়িয়ে পাশের মাঠে একটি ঝোপের ধারে ফেলে দেয় তারা। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে নাবালিকাকে নিয়ে পরিত্যক্ত গোডাউনের দিকে যেতে দেখা গিয়েছে মূল অভিযুক্তকে। ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে নেপালে পালায় সে।

    ওদিকে ঘটনার প্রায় ৪ দিন পর গত শনিবার দেহ থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, যে মাঠে দেহ ফেলা হয়েছিল সেদিকে সাধারণত মানুষ যায় না। তবু ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে শনিবার পচন ধরা দেহে তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় মূল অভিযুক্তের ২ সহযোগী। জেরায় ওই ২ জন জানিয়েছে, যেহেতু সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে তাদের দেখা যায়নি তাই এলাকা ছাড়েনি তারা।

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দেহটি যেখানে ফেলা হয়েছিল সেখান থেকে নাবালিকার বাড়ির দূরত্ব মেরে কেটে ১০ মিনিট। কিন্তু জনবিরল হওয়ায় কেউ দেহ দেখতে পাননি।

    জয়গাঁর ঘটনায় ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসোর ধারা প্রয়োগ করে ৫ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ইতিমধ্যে খুনের কথা কবুল করেছে মূল অভিযুক্ত। কেন সে নাবালিকাকে খুন করল তা জানতে তাকে লাগাতার জেরা করছেন তদন্তকারীরা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)