• ‘‌আমি আজ রাতে নবান্নে থাকব’‌, ঘূর্ণিঝড় ‘‌দানা’‌র নিশিতে অতন্দ্র প্রহরী মমতা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • আরও এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এখন ঘূর্ণিঝড় ‘‌দানা’‌ সাগরদ্বীপ থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে আছে। বৃহস্পতিবার মাঝরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে তা আছড়ে পড়তে পারে ওড়িশা উপকূলে। ল্যান্ডফল হতে পারে ধামরা ও ভিতরকণিকার মাঝামাঝি কোনও স্থানে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলার উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে। প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কলকাতাতেও। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠক করার পর এই ঘূর্ণিঝড়ের রাতে অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে নবান্নে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটা নিজেই জানিয়েছেন তিনি।

    এদিকে দুর্যোগের আশঙ্কায় আগাম সতর্কতা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে খোলা আছে কন্ট্রোল রুম। নবান্নেও খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সেখান থেকে যোগাযোগ রাখা হবে জেলাগুলিতে। মানুষ বিপদে পড়লে যোগাযোগ করতে পারবেন নবান্নের হেল্পলাইন নম্বরে। উপকূলবর্তী থানাগুলি থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বারবার মাইকিং করা হচ্ছে। সারারাত সজাগ দৃষ্টি রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সার্বিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। আগেও এমনভাবেই আমফান, যশ–সহ একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে নবান্নে জেগে রাত কাটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ট্র‌্যাডিশন অক্ষুন্ন রইল এবারও।

    অন্যদিকে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুর্যোগের আশঙ্কা আছে এমন জায়গাগুলি থেকে ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৯৪১ মানুষকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৮৫১টি ক্যাম্প খোলা হয়েছে। নানা ত্রাণ শিবিরগুলিতে ৮৩ হাজার ৫৮৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন। নবান্নে সর্বক্ষণের হেল্পলাইন নম্বর চালু থাকবে। নবান্নের হেল্পলাইন নম্বর ২২১৪৩৫২৬/‌১০৭০। জেলাগুলিতেও চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন। আজ রাতে নবান্নে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের নিজের দফতর থেকে সমগ্র পরিস্থিতির দিকে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে নজর রাখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌সবচেয়ে দামি মানুষের জীবন। তাই জীবন বাঁচানোটা অত্যন্ত জরুরি। সেখানে যেন কারও সমস্যা না হয়। রাতভর নবান্নে থেকেই সেটা পর্যবেক্ষণ করব।’‌

    এছাড়া ইতিমধ্যে রাজ্যের ৯টি জেলায় সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। আগাম সতর্কতা হিসাবে ২৩ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ৯টি জেলার সব স্কুল ছুটি থাকবে বলে আগেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্যোগ পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নানা দফতরের সচিবদের। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‌যখনই ঝড়ের ল্যান্ডফল হোক না কেন, আমরা তৈরি। কেউ কেউ বলছে ওড়িশার ধামরার দিকে যাবে, এদিকে ততটা প্রভাব পড়বে না। তবে এটা ঠিক তথ্য নয়।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)