• স্কাইওয়াকের কাজের গতি দেখে ক্ষুব্ধ মেয়র, কর্মী বাড়িয়ে দ্রুত শেষের নির্দেশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • কালীঘাটে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে স্কাইওয়াক তৈরির কাজ চলছে। নির্মাণকারী সস্থাকে বলা হয়েছিল ২০২৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু, ২০২৩ পেরিয়ে ২০২৪ সালও শেষ হতে চলেছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত শেষ হল না স্কাইওয়াক তৈরির কাজ। অতীতে এই কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এনিয়ে সংস্থার ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। 

    স্কাইওয়াকের কাজের গতি দেখে তিনি বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি স্কাইওয়াকের কাজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সব দিক পরিদর্শন করার পর কাজ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সংস্থার আধিকারিকদের ভর্ৎসনা করেন। মেয়রের মতে, সংস্থা ঢিলেমি করছে বলেই কাজে দেরি হচ্ছে। এরপরেই দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজনে কর্মী সংখ্যা বাড়াতে হবে। অন্যদিকে, ওই এলাকায় যে সব হকাররা ছিল তাদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন তিনি।

    উল্লেখ্য, বহু প্রতীক্ষিত সেই স্কাইওয়াক তৈরি কবে শেষ হবে? সেই প্রশ্নের উত্তর নেই প্রশাসনের কাছে। প্রথমে গত বছরের এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেও বেশ কয়েক দফায় কাজ শেষ করার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল। শেষে গত বছরের ডিসেম্বরে মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন মুখ্য সচিব। কিন্তু, তার মধ্যেও কাজ শেষ হয়নি। যদিও এই দেরি হওয়ার পিছনে একাধিক কারণ উল্লেখ করা হয়েছে নির্মাণকারী সংস্থার পক্ষ থেকে। যার মধ্যে একটি হল পুরসভার বিল মেটাতে দেরি করছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুরসভা। তাদের বক্তব্য, ঠিক সময়ই টাকা দেওয়া হচ্ছে। পালটা নির্মাণ সংস্থার বিরুদ্ধেই কাজে ঢিলেমি করার অভিযোগ তুলেছে পুরসভা।

    ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে কালীঘাট স্কাইওয়াক তৈরির কাজ শুরু হয়। গত বছরের এপ্রিলে কাজ শেষ না হওয়া নিয়ে এর আগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রয়োজনে নির্মাণকারী সংস্থাকে সরিয়ে পূর্ত দফতরকে দিয়ে বাকি কাজ করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। এরপরে ফিরহাদ হাকিম নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। 

    নির্মাণকারী সংস্থার দাবি, ওই এলাকায় কাজ করতে গিয়ে তাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাদের দাবি, ওই এলাকায় বহু পুরনো পাইপলাইন রয়েছে, তাছাড়া এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। এছাড়াও রয়েছে কালীঘাট মন্দিরে আসা পুণ্যার্থীদের ভিড়। তার জন্যই কাজে দেরি হচ্ছে। উল্লেখ্য, কালীঘাট স্কাইওয়াকের দৈর্ঘ্য হবে ৫০০ মিটার এবং চওড়া হবে ১০ মিটার। এই স্কাইওয়াক তৈরিতে ৮০ কোটি টাকা খরচ ধার্য করা হয়েছে। কালীঘাট মন্দির থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রোডের দিকে যাবে এই স্কাইওয়াক।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)