আবহাওয়া দফতর বলছে এদিকে বেশি এফেক্ট হবে না, কিন্তু একতলায় আগুন লাগলে….বললেন মমতা
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ অক্টোবর ২০২৪
ওড়িশায় ল্যান্ডফল হওয়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গেও প্রবল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে আজ রাতটা নবান্নেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকেই পুরো পরিস্থিতির উপরে নজর রাখবেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে রাজ্য প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক আছে। নিচ্ছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। তবে অযথা আতঙ্কিত হয়ে পড়ার বা গুজব না ছড়ানোর আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী।
সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘টিভিতে অনেকে বলছে আবহাওয়া দফতর থেকে, এটা ধামরার কাছে যাবে। এদিকে বেশি এফেক্ট হবে না। সেটি কিন্তু ঠিক নয়। এফেক্ট এদিকেও হবে । কারণ আপনার বাড়ির একতলায় যদি আগুন লাগে, তাহলে দোতলাতেও আগুন লাগার সম্ভাবনা থাকে আগুনের শিখার এত জোর। বন্যা যখন হয়, একতলা ডুবে যায়। দোতলাও কিন্তু ডোবার মতো অবস্থায় থাকে। একতলার ভিত নড়ে গেলে তিনতলা বাড়িও পড়ে যায়। সবথেকে দামি হচ্ছে মানুষের জীবন। তাই জীবন রক্ষা করতে হবে।’
আর মানুষের জীবন রক্ষার জন্য রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, সেটাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, নীচু এলাকার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেরকম ৩,৫৬,৯৪১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১,৫৯,৮৩৭ জন ক্যাম্পে এসেছেন। মোট ৮৫১টি শিবির খোলা হয়েছে। উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকায় যে ফ্লাড সেন্টার আছে, সেগুলিতে মানুষকে সরিয়ে আনা হচ্ছে। আশপাশের স্কুলেও শিবির খোলা হয়েছে বলে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে জেলায়-জেলায় হেল্পলাইন নম্বর খোলা হয়েছে। নবান্নেও চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর। যা ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে। আর সেই হেল্পলাইনের নম্বর হল - ০৩৩-২২১৪৩৫২৬ । কেউ যদি কোনও বিপদে পড়েন বা অন্য কেউ বিপদে পড়েছেন জানলে সেই নম্বরে ফোন করে তথ্য জানাতে পারবেন।