হোম স্টে নিয়ে উঠছে বহু অভিযোগ, খতিয়ে দেখতে সমীক্ষা করবে পর্যটন দফতর
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ অক্টোবর ২০২৪
রাজ্যের পর্যটন দফতরে নথিভুক্ত রয়েছে কয়েক হাজার হোম স্টে। তবে বিগত কয়েক বছর ধরেই হোম স্টে নিয়ে নানা রকমের অভিযোগ উঠে আসছে। সেক্ষেত্রে বেআইনিভাবে হোম স্টে লিজে দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের দেওয়া আর্থিক সাহায্যকে অন্য খাতে ব্যবহার করা। এছাড়াও কোথাও প্রচারের অভাব বা কোথাও পরিকাঠামোগত সমস্যার অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েক বছর ধরে এরকম বহু অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। তাই এবার হোম স্টে-এর বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সমীক্ষা করবে রাজ্য সরকার।
সম্প্রতি পর্যটন দফতরে একটি বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে পর্যটন সচিব তথা স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী সমীক্ষার নির্দেশ দেন। নির্দেশে বলা হয়, পুজোর পরে হোম স্টে নিয়ে সমীক্ষা শুরু করতে হবে। যেহেতু পুজো শেষ হয়ে গিয়ে তাই দ্রুতই এবার হোম স্টে নিয়ে সমীক্ষা করতে চলেছে রাজ্য পর্যটন দফতর। জানা যায়, রাজ্য সরকার ২০১৭ সালে ‘ওয়েস্টবেঙ্গল হোম-স্টে পলিসি’ তৈরি করে। এরপরে ২০১৯ এবং ২০২২ সালে তাতে কিছু সংযোজন এবং সংশোধন করে আইন তৈরি হয়। পর্যটন ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল করোনার সময়। তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হোম স্টে তৈরিতে উৎসাহ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সরকার হোম স্টে গড়তে উৎসাহ দিতে এক লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দিয়ে থাকে মালিকদের। নিয়ম অনুযায়ী, সেই অর্থ হোম স্টের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু, অনেকেই সেই অর্থ অন্য কাজে ব্যবহার করছেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে হোম স্টে লিজে দিচ্ছেন মালিকরা, বা হোম স্টেকে কিছুটা বাড়িয়ে হোটেলের ব্যবসা করছেন। শুধু তাই নয়, বুকিংয়ের সময় অনেকেই হোম স্টে নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছেন। ফলে সেখানে গিয়ে একাধিক সুবিধা পাচ্ছেন না পর্যটকরা। এছাড়াও নিয়ম রয়েছে, হোম স্টেতে মালিক সহ কম করে ৪ জন কর্মী থাকতে হবে। তার মধ্যে ন্যূনতম এক জন কর্মীর প্রশিক্ষণ থাকতে হবে বা খাবারে স্থানীয় রান্নার পদ রাখতে হবে। অনেকেই সেই নিয়ম মানছে না বলেই অভিযোগ উঠেছে। তাই সমীক্ষায় উদ্যোগী হয়েছে সরকার।
পর্যটন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রত্যেক জেলাশাসকের কাছ থেকে তালিকা নেওয়ায় হবে। তারপর হোম-স্টে নিয়ম মেনে সমীক্ষা করা হবে। রিপোর্ট দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, রাজ্যে গত ১২ সেপ্টেম্বরের হিসেব অনুযায়ী রাজ্যের ২৩টি জেলায় নথিভুক্ত হোম-স্টে রয়েছে ২,৩৭৩ টি। এরমধ্যে শুধু কালিম্পংয়েই রয়েছে ১,০৭০টি।