রাজ্যের পাঁচ জন মন্ত্রীকে বৈঠকে যোগ দিতে বারণ করা হয়েছিল। বিকল্প হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে তাঁদের পাঠানো হয় বিশেষ নির্দেশ। এই মন্ত্রীরা হলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী, কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না এবং সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূল এলাকায় দাপট দেখাবে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’। তাই এই পাঁচ মন্ত্রীকে রাজ্যের পৃথক পাঁচটি জায়গায় পাঠিয়ে পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে বলেছেন মমতা। ‘দানা’ ওড়িশায় বড়সড় হানা দিলেও তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের সাগরতটে থাকা এলাকাগুলি। তাই যে সব মন্ত্রী গাঙ্গেয় উপকূল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, তাঁদেরই এই কাজের জন্য বেছে নিয়েছেন তিনি। সেচমন্ত্রী মানসকে মেদিনীপুরে থেকে ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতির উপর নজরদারি করতে বলা হয়েছে। মন্ত্রী বিরবাহাকে ঝাড়গ্রামে থেকে নজরদারি করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব পাশকুড়া পূর্বের বিধায়ক হলেও, তাঁকে দেখতে বলা হয়েছে দিঘার সামুদ্রিক এলাকা। দায়িত্ব পাওয়ার পরেই কাজও শুরু করে দিয়েছেন মৎস্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র সাগরদ্বীপে থেকেই গোটা সুন্দরবনের ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে শুরু করেছেন। তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র সাগর তৈরি হয়েছে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন সাগরদ্বীপ এবং নামখানা ব্লক নিয়ে। এই দু’টি জায়গার মধ্যে দূরত্ব অনেকটাই। তাই নজরদারির ক্ষেত্রে প্রশাসনের উপরেই নির্ভর করতে হতে হচ্ছে তাঁকে। সুন্দরবনের কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা এলাকায় নজরদারি করতে সচিব পর্যায়ের আধিকারিক মণীশ জৈনকেও পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, সেচ দফতরের আধিকারিকেরাও ঝড়ের সময় ওই সব এলাকাতেই থাকবেন।