ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে যোগাযোগ বিপর্যস্ত হলে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে হ্যাম রেডিও। ওষুধ পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে যে কোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ স্থাপন খুব জরুরি। আর সেই ভূমিকা নিতে পারে হ্যাম রেডিও।সে কথা মাথায় রেখেই চুঁচুড়া কনকশালীর বাসিন্দা সৌরভ গোস্বামী তাঁর বাড়িতে মিনি রেডিও স্টেশন তৈরি করেছেন। সেখান থেকে হ্যাম কমিউনিটির সদস্যদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন তিনি। সৌরভ জানান, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছেন। প্রয়োজনে ঝাঁপিয়ে পড়বেন।
বৃহস্পতিবার রাতেই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানার ল্যান্ডফল হওয়ার কথা। পড়শি রাজ্য ওডিশায় ল্যান্ডফল হলেও বাংলার উপকূলের জেলাও তছনছ হতে পারে। আর সাইক্লোন মানেই যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে যোগাযোগ বিপর্যস্ত হলে হ্যাম রেডিও সেখানে কাজ করে।
সৌরভ গোস্বামী বলেন, 'আমরা এমার্জেন্সি কমিউনিকেশনের জন্য সবসময়ই তৈরি থাকি। দুর্যোগ কতটা প্রবল, আমাদের কতটা প্রয়োজন, সবটা বুঝে আমরা তো যাবই। সরকারকেও আমরা জানিয়েছি। সবসময় চাইব যেন কোনও বিপর্যয় না হয়। কিন্তু কোনও সমস্যায় আমরা ঝাঁপাতে সবসময় প্রস্তুত। আমাদের পোর্টেবল সেটআপ রয়েছে।'
কোনও বিপর্যয় বা দুর্যোগে দ্রুত যোগাযোগের জন্য হ্যাম রেডিওর ভূমিকা অগ্রগণ্য। হ্যাম রেডিওর ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করলে কোনও বিল ওঠার বিষয় নেই বলেও জানান সৌরভ। হ্যাম রেডিওর যে কমিউনিটি, তাদের মধ্যেই এই যোগাযোগ চলে বলে জানান তিনি।
সৌরভের কথায়, 'হ্যাম রেডিওকে কাজে লাগিয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করি। সরকার প্রয়োজনে আমাদের সাহায্য নেয়। শুধু দেশেই নয়, পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে হ্যাম রেডিওর ব্যাপ্তি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে অনেক বেশি সময় ধরে আবহাওয়া খারাপ থাকে। সেই সময় হ্যাম রেডিও খুব কার্যকর।'