ঘূর্ণিঝড় ডানা: গুজবে কান না দিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর, রাতে নবান্ন থেকেই নজরদারি চালাবেন তিনি
বর্তমান | ২৫ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ডানা। ইতিমধ্যেই সেটি শক্তি বাড়িয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে ধামড়া-ভিতরকণিকার মধ্যে দিয়েই স্থলভাগে প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে ডানার। ওড়িশার উপকূল এলাকা দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি প্রবেশ করলেও পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। আজ, বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমন কথাই জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, ‘ওড়িশার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লেও বাংলাতেও তার যথেষ্ট প্রভাব পড়বে। ল্যান্ডফল কখন হবে সেই সময় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। যে কোনও সময়ে দুর্যোগ ঘনিয়ে আসতে পারে। তাই আমি আধিকারিকদের সজাগ থাকতে বলেছি।’
স্বভাবতই প্রত্যেক ঘূর্ণিঝড়ের সময়েই নবান্ন থেকে পরিস্থিতির দিকে নিজেই নজর রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, আজ বৃহস্পতিবারও নবান্ন থেকে নজরদারি চালাবেন। ইতিমধ্যেই একটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। সেটি হল- (০৩৩) ২২১৪৩৫২৬ এবং ১০৭০। পাশাপাশি জেলাগুলিতেও হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে গুজবে কান না দিয়ে সতর্ক থাকতেই পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেছেন, ‘মানুষের জীবন হল সব চেয়ে দামী। মানুষের জীবন রক্ষা করতে হবে। স্কুলগুলি ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই কারণেই। আমি আজ রাতে নবান্নেই থাকব। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সকলের সঙ্গে কাজ করব।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে এমন জায়গাগুলিতে ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৯৪১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮৩৭ জনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় ৮৫১টি ক্যাম্প চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরগুলিতে ৮৩ হাজার ৫৮৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন।’
সমুদ্রের কাছে ভ্রমণ না করতেই সকলকে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরই মাঝে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ফের একবার ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেছেন, ‘কিছুদিন আগেই আমরা একটি বন্যা সামলে দিয়েছি। ডিভিসি গতকাল আবার ২৪ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে আবার জল ছাড়বে। বাংলা যেন ওদের জল হজম করার একটি জায়গা হয়ে গিয়েছে। তার থেকে যদি ডিভিসি ঠিকভাবে খনন করে পলি পরিস্কার করে, তাহলে ওরা আরও ৪ লক্ষ কিউসেক জল রাখতে পারে।’