ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে পান্ডুয়ার বোসপাড়ায় জাল নোট ছাপা হত।এলাকারই যুবক,সেখ নাজিমুদ্দিন,সেখ রোহন ও সেখ আরমানকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।পরে ডানকুনি থেকে সেখ সাদ্দাম নামে এক জনকে গ্রেফতার করে।
বোসপাড়ার শেখ গুলশান এবং দাইপুকুরের বাসিন্দা শেখ সোয়েল নামে দুই যুবকও এই নকল নোট ছাপানোর সঙ্গে যু্ক্ত ছিল।ধৃতদের বাড়ি থেকে ল্যাপটপ,জাল নোট মোবাইল প্রিন্টার বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিস। তদন্তে পুলিস জানতে পারে এই জাল নোট কারবারে আরো কয়েকজন যুক্ত। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত সেখ গুলশান ও সেখ সোহেল প্রথমে বাইক নিয়ে খড়গপুর যায়।
খড়গপুর থেকে বীরভূম সেখান থেকে আজমের শরিফ হয়ে দিল্লি চলে যায়। দিল্লি থেকে গোয়ায় যায়। সেখানে হুগলি গ্রামীন পুলিশের স্পেশাল টিম পৌঁছে যায়।কিন্তু অল্পের জন্য হাত ফসকে যায় তাঁরা।গোয়া থেকে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরে তিরুবনন্তপুরমে গিয়ে থাকে। কেরলের কোচি পুলিসের সাহায্য নিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করে।
হুগলি গ্রামীন পুলিসের অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র জানান,ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে।এই চক্রে আরো কেউ আছে কিনা তার খোঁজ চালানো হবে।অভিযুক্তরা জুয়েলারির কাজে গুজরাট মহারাষ্ট্রসহ ভিন রাজ্যে থাকত। তাই গোটা দেশে তাদের গতিবিধি ছিল। অনেক ঘোরানোর পর অবশেষে তাদের পুলিশ ধরতে সক্ষম হয়েছে।