স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতার মা কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। বছর পাঁচেক আগে প্রথমপক্ষের স্বামীর মৃত্যু হয়। এরপর অভিযুক্তের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই মহিলার। কিন্তু দ্বিতীয় বার বিয়ে করলেও প্রথমপক্ষের স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে থাকেন অভিযুক্ত।
এদিকে দ্বিতীয় স্বামীর দৌলতেই দিল্লিতে কাজ পান নির্যাতিতার মা। মাস তিনেক ধরে সেখানেই থাকেন তিনি। মানসিক ভারসাম্যহীনকে মেয়েকে রেখে গিয়েছিলেন দিদার কাছে। মাঝেমধ্য়েই মেয়ের খোঁজ নিতে আসতেন অভিযুক্ত সত্ বাবা। দেখা করার নামেই ওই নাবালিকা দিনের দিনের পর ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ। দুর্গাপুজোর সময়ে ঘটনা ধরে ফেলেন নির্যাতিতার দিদা। প্রতিবাদ করলে নাকি তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় অভিযুক্ত!
তখন অবশ্য থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। নির্যাতিতার দিদার দাবি, 'অনেকদিন ধরেই অত্যাচার চালিয়ে আসছিল। প্রথমে আমি বিষয়টি মেয়েকে জানাই। কিন্তু মেয়ে পুলিশকে জানাতে বারণ করে দেয়'। এরপর সম্প্রতি যখন ফের একই ঘটনা ঘটে, তখন বিষয়টি এক প্রতিবেশী জানান তিনি। অভিযোগ দায়ের করা হয় নকশালবাড়ি থানায়। বাড়ি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস।
নির্যাতিতার দিদা বলেন, 'সম্প্রতি বাড়িতে এসে আবার একই কাজ করল। আমি আর সহ্য করতে না পেরে গ্রামবাসীদের জানাই৷ এরপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে'। স্থানীয় বাসিন্দা সুনীল রায় বলেন, 'যে জঘন্য কাজ অভিযুক্ত করেছে, তার জন্য তার ফাঁসি হওয়া উচিত'। ফোনে দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার প্রবীন প্রকাশ জানিয়েছেন, "ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কোনভাবেই রেয়াত করা হবে না'।