• ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির আশঙ্কা, মেলার আগে সৈকত পুনরুদ্ধারে সংশয়
    বর্তমান | ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: হাতে সময় আড়াই মাস। তারপরই শুরু গঙ্গাসাগর মেলা। সেকথা মাথায় রেখেই পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছিল প্রস্তুতি। মাটি ফেলে চলছিল সৈকত পুনরুদ্ধারের কাজ। কিন্তু ‘ডানা’র আচমকা আগমন ভাবিয়ে তুলেছে প্রশাসনকে। ডানার ঝাপটায় সাগর সৈকতের বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছে জেলা প্রশাসন। যতটুকু কাজ হয়েছে সেটাও ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসনিক কর্তাদের অনুমান, দুর্যোগ কাটার পর সাগরকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে সময় লাগবে। ফলে এই কম সময়ের মধ্যে মেলার জন্য সৈকত প্রস্তুত করা যাবে কি না, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। 

    প্রায় প্রতিবছরই এই সমুদ্র সৈকতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাত নেমে আসে। পাশাপাশি অল্প অল্প করে জমি গিলে এগিয়ে আসছে সমুদ্রও। সি বিচের একটা বড় অংশ এখনও বেহাল। বিভিন্ন রাস্তা ভেঙেচুরে রয়েছে। কংক্রিটের বাঁধ দেওয়া হলেও সেটা টেকেনি। তাই মেলার কথা ভেবে সেচদপ্তরের কর্মীরা বিভিন্নভাবে সৈকতকে তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। কিন্তু সব চেষ্টাই বৃথা যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফের নতুন করে কাজ শুরু করতে হতে পারে। ফলে বাড়বে খরচ, সময় লাগবে বেশি। এক আধিকারিক বলেন, এবারের কাজে একের পর এক বাধা আসছে। লক্ষ্মীপুজোর সময় কোটালে বড় বড় ঢেউ এসে এক প্রস্থ ক্ষতি করেছে। আর এবার ডানার প্রভাবে প্রস্তুতি বড়সড় ধাক্কা খাবে। আমাদের সমস্যা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে। 

    এদিকে, গঙ্গাসাগরের এই সমুদ্র সৈকত পরিদর্শন করেছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। ক্ষতি যাতে বেশি না হয়, তার জন্য সেচদপ্তরকে উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। যদিও আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সাগরে ঝড়ের গতিবেগ অনেক বেশি থাকবে এবং বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়বে সৈকতের উপর। ফলে বড় ধরনের ক্ষতি হবে ধরেই নিয়েছে প্রশাসন। এই নিয়ে জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ঝড়ের প্রভাব কতটা পড়বে সেটা দেখে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। গত কয়েক বছরে এই সময় বড় দুর্যোগ সেভাবে হয়নি। ফলে সাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে কোনও বাধা আসেনি। এবারে এক প্রকার নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে প্রশাসনকে।
  • Link to this news (বর্তমান)