• বছরের পর বছর বেহাল রাস্তা, ভোট বয়কটের ডাক হাড়োয়ায়
    বর্তমান | ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: ভোট আসে, ভোট যায়। কিন্তু মানুষের যন্ত্রণা থেকেই যায়। প্রতিটি ভোটের আগে রাস্তা সারাইয়ের গালভরা প্রতিশ্রুতি মিললেও কখনই তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে বেহাল থেকে গিয়েছে রাস্তা। এ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষ। হাড়োয়ায় ফের একটি ভোট, উপ নির্বাচন। তাই বেহাল রাস্তার কারণে এবার ভোট বয়কটের ডাক দিলেন দেগঙ্গা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দারা।

    হাড়োয়া বিধানসভার অন্তর্গত দেগঙ্গা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েতের টাকি রোড থেকে দেগঙ্গার কার্তিকপুর আদর্শ বালিকা বিদ্যাপীঠ পর্যন্ত ঢালাই রাস্তা ধরে একটু এগিয়ে গেলেই পড়ে বিবেকানন্দ পল্লি। এর একদিকে মাঠপাড়া, অন্যদিকে চট্টলপল্লি। দুই গ্রামে কমবেশি ৫০০ পরিবারের বাস। এই দুই গ্রামের মানুষের নিত্য যাতায়াতের রাস্তাটি বছরের পর বছর বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। শুধু পঞ্চায়েত নয়, ব্লক স্তরেও এ নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও এই রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। স্বভাবতই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। অল্প বৃষ্টি হলেই জল জমে যায় রাস্তায়। গোটা রাস্তা ভরে যায় জলকাদায়। ফলে বৃষ্টি থামলেও কয়েকদিন বাড়ি থেকে বের হওয়াই দায় এলাকার মানুষের। গত বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচনের সময় এই রাস্তা মেরামতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি মুখে মুখেই থেকে গিয়েছে। তাই হাড়োয়ার উপ নির্বাচনে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই এলাকার বাসিন্দা রেখাশ্রী দত্ত ও তাপসী দত্ত বলেন, ‘দু’টি গ্রামের রাস্তাই সম্পূর্ণ বেহাল। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই অবস্থা। আমরা বারে বারে প্রশাসনকে একথা জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই আমরা দুই গ্রামের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, উপ নির্বাচনে ভোট দিতে যাব না। তৃণমূল প্রার্থী রবিউল ইসলামের বাবা তথা প্রাক্তন বিধায়ক প্রয়াত হাজি নুরুল ইসলামও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাস্তা হবে বলে। কিন্তু হয়নি। তাই আমাদের মতো ভোটারদের ভোট দিয়ে কী লাভ?’ আরেক বাসিন্দা আব্দুল রশিদ মল্লিক বলেন, ‘রাস্তার যে অবস্থা, বলার মতো নয়। প্রশাসনের কর্তা থেকে পঞ্চায়েতের নেতা-কর্মীরা সব দেখেও না দেখার ভান করছেন। ছোটখাট দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। বর্ষার সময় হঠাৎ করে কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। সুবীর সেন নামে এক বাসিন্দা বলেন, এই বেহাল রাস্তা নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছি। পুজোর পরেও খোঁজ নিয়েছি দপ্তরে। কিন্তু কারওরই ঘুম ভাঙেনি। কবে রাস্তার কাজ শুরু হবে, কেউ জানে না। কয়েকশো পরিবার এই বেহাল রাস্তা নিয়ে প্রশ্ন করছে। যদিও আদর্শ নির্বাচনী বিধি লাগু থাকায় প্রশাসনের কর্তারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন।  - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)