• আনন্দপুরে প্রোমোটার খুনের মামলায় আদালতে চার্জশিট কলকাতা পুলিসের
    বর্তমান | ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আনন্দপুর থানা এলাকার পঞ্চান্নগ্রামে প্রোমোটার আরিফ খানকে নৃশংস খুনের ঘটনায় চার্জশিট পেশ করল কলকাতা পুলিস। বৃহস্পতিবার দুপুরে আলিপুর আদালতে চার্জশিট পেশ করেছেন কলকাতা পুলিসের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা।

    আলিপুর আদালত সূত্রে খবর, ৮৮ দিনের মাথায় প্রায় একশো পাতার এই চার্জশিটে মহম্মদ জাকির খান, মইন আব্বাস এবং আমির বাকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মইন আব্বাস এই খুনের মামলায় প্রধান অভিযুক্ত। পাশাপাশি চার্জশিটে চতুর্থ অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে এসেছে  হায়দরাবাদের চারমিনার এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ শেখ নৌশাদের। তার বিরুদ্ধে খুনের পর দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি এই খুনে নৌশাদের সরাসরি যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে লালবাজার। চার্জশিটে সাক্ষী হিসেবে নাম রয়েছে ৪৬ জনের।

    গত ২৬ জুলাই আনন্দপুর থানা এলাকার পঞ্চান্নগ্রামে ভরসন্ধ্যায় রাস্তায় ফেলে চপার দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয় প্রোমোটার আরিফ খানকে। প্রথমে মহম্মদ জাকির খান, মইন আব্বাস, আমির বাকে ওই প্রোমোটারকে তাড়া করে। তিনি রাস্তায় পড়ে গেলে তাঁকে চপার দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। প্রকাশ্য রাস্তায় এই খুনের জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আরিফ রক্তাক্ত অবস্থায় দীর্ঘ সময় রাস্তাতেই পড়ে ছিলেন। 

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আনন্দপুর থানার পুলিস তাঁকে উদ্ধার করে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কেন এই খুন? তদন্ত শেষে লালবাজার জানাচ্ছে, তোলা চাওয়ায় মূল অভিযুক্ত মইন আব্বাসকে প্রকাশ্যে অপমান করেছিলেন ওই প্রোমোটার। পাশাপাশি, এক সময়ের বন্ধু আরিফের ব্যবসায়িক সাফল্য ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল মইনের।

    সম্প্রতি কলকাতার বুকে এমন নৃশংস খুনের ঘটনা কার্যত বিরল। তড়িঘড়ি মামলার তদন্তভার আনন্দপুর থানার হাত থেকে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার অফিসার জগবন্ধু গড়াইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। তদন্তে নেমে লালবাজার মুম্বই সহ দেশের একাধিক জায়গা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)