সেলোটেপ দিয়ে পাঁজরে বাঁধা কোটি টাকার সোনার ইট, ধৃত
বর্তমান | ২৫ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: গোয়েন্দা মারফত খবর ছিল, সীমান্ত দিয়ে পাচার হতে পারে সোনা। তাই শুরু হয়েছিল কড়া নজরদারি। তল্লাশির সময় চেকপোস্টে আটক করা হয় সন্দেহজনক এক বাইক আরোহীকে। তার পরনের টি-শার্ট সরাতেই বিএসএফ জওয়ানদের চোখ কপালে ওঠে। তাঁরা দেখেন, সেলোটেপ দিয়ে বাইক আরোহীর পাঁজরে আটকানো রয়েছে কোটি টাকা মূল্যের আস্ত সোনার ইট! মানিব্যাগ থেকে পাওয়া যায় আরও একটি সোনার টুকরো। সব মিলিয়ে উদ্ধার হওয়া সোনার পরিমাণ ১ কেজি ৪০০ গ্রাম। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা সীমান্তে এই সাফল্য পেয়েছে বিএসএফ। গ্রেপ্তার হয়েছে পাচারকারী। জেরায় সে দাবি করেছে, ব্যবসায় মারাত্মক লোকসানের জেরে সে দেনায় ডুবে আছে। তাই ঋণ শোধ করতেই সোনা পাচারে নাম লিখিয়েছে!
বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচার নতুন নয়। তবে, এতকাল সোনার বিস্কুটই পাচার হতো। এক একটি বিস্কুটের ওজন ১০০ গ্রাম। বেশ কয়েকমাস ধরে বিস্কুটের সঙ্গে সোনার ইট পাচারও শুরু হয়েছে। এই এক একটি ইটের ওজন এক কেজি বা তার বেশি। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোয়েন্দা মারফত খবর ছিল, ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে সোনা পাচার হতে পারে। সেই খবর পাওয়া মাত্রই ১০২ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা বাড়তি সতর্কতা নেন। চেকপোস্টের কাছেও তল্লাশিতে বিশেষ নজর দেওয়া হয়।
চেকপোস্টের কাছে একটি বাইক সন্দেহজনকভাবে সীমান্তের দিক থেকে আসছিল। তাকে আটক করে বিএসএফের সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার তল্লাশি চালানো হয়। জামা তুলতেই জওয়ানরা অবাক হয়ে যান। দেখা যায়, তার পাঁজরের ডানদিকে মোটা সেলোটেপ জড়িয়ে আটকানো রয়েছে একটি সোনার ইট! পরে আরও তল্লাশি চালানো হলে তার মানিব্যাগের ভিতর থেকে একটি সোনার টুকরো পাওয়া যায়। তারপরই ওই বাইক আরোহীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়, তার বাইকটিও।
বিএসএফের জেরায় ধৃত ব্যক্তি জানায়, দেনার টাকা সে কিছুতেই শোধ করতে পারছে না। কীভাবে পরিশোধ করবে, তা ভেবে পাচ্ছিল না। এমন সময় বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার লক্ষ্মীধারী গ্রামের এক সোনা পাচারকারীর সঙ্গে পরিচয় হয়। কমিশনের বিনিময়ে ওই ব্যক্তি তাকে সোনা পাচারের টোপ দেয়। তাতে রাজি হয়ে সে পাচার করছিল। কিন্তু, পাচার হওয়ার আগেই সে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যায়।