এই সময়: ঘূর্ণিঝড়ের জন্য বৃহস্পতিবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে কয়েকজন মন্ত্রীকে আসতে বারণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য ওই মন্ত্রীদের নিজেদের এলাকায় থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। দানার আবহে এ দিন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হলো যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত।সূত্রের খবর, মমতার নির্দেশে মানস ভুঁইঞা, বঙ্কিম হাজরা, পুলক রায়, বিপ্লব রায়চৌধুরী, বীরবাহা হাঁসদা, বেচারাম মান্না, অরূপ রায় এ দিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে যোগ দিতে এসে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়েন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, ‘তুমি এলাকায় যাওনি?’ স্নেহাশিস বলেন, ‘এলাকা থেকেই আসছি। বৈঠক শেষে আবার যাব।’ মন্ত্রীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ‘আপনারা সকলে নিজের এলাকায় কতটা ক্ষয়ক্ষতি কতটা হলো, সেটা নজরে রাখুন।’
এ দিনের বৈঠকে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কর্মবন্ধু-সহ স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থ দপ্তরে ১০০ জনের নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৫৭ জন কর্মবন্ধু নিয়োগ করা হবে। রাজ্য সমবায় কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর ১৫০০ কোটি টাকার ঋণ নিতে চলেছে কৃষি প্রকল্প রূপায়ণে। নাবার্ড ও রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে এই ঋণ সংগ্রহ করা হবে। রাজ্য সরকার জামিনদার হবে বলে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ দিকে কিছু জেলায় খোলা বাজারে সারের কালোবাজারির অভিযোগ জমা পড়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। বিশেষ করে আলু চাষের জন্য প্রয়োজনীয় সারের। খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কৃষি দপ্তরকে। এর পরেই কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জেলা কৃষি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।