ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে রাতভর বৃষ্টি চলছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। গভীর রাতে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় দানা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এখনও ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত আরও ১-২ ঘণ্টা চলবে এই প্রক্রিয়া। দানার প্রভাবে শুক্রবারও দিনভর দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। কোনও কোনও জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
মধ্যরাতে আছড়ে পড়ল দানা
শুক্রবার গভীর রাতে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় দানা। রাত দেড়টা থেকে সাড়ে ৩টের মধ্যে ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার কাছে আছড়ে পড়ল দানা। ঝড়ের বেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ ঘণ্টায় ১২০ কিমি। দানার প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টি চলছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এখনও ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া চলছে। আরও ১-২ ঘণ্টা ধরে চলবে ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া। তারপরে ধীরে ধীরে শক্তিক্ষয় হবে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
কতদিন ধরে চলবে বৃষ্টি?
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে কোথাও কোথাও। আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে প্রবল বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে।
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তরের সব জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।
কলকাতায় কত তাপমাত্রা?
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫.২ ডিগ্রি কম। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২.৪ ডিগ্রি বেশি। শহরে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯৫ শতাংশ এবং ন্যূনতম ৮৮ শতাংশ।