রবিবার কলকাতায় অমিত শাহ, দেখা করবেন আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ অক্টোবর ২০২৪
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে চান আরজি করে নির্যাতিতার পরিবার। ইতিমধ্যেই তারা এই আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। ইমেল মারফত সেই চিঠি পেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে সম্মত হয়েছেন। উপনির্বাচনের প্রচারে আগামী রবিবার কলকাতায় আসার কথা রয়েছে অমিত শাহের। তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্যাতিতার বাবা মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে বিজেপি সুত্রের খবর।
রাজ্য বিজেপির একজন নেতা জানান, আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যে ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচন রয়েছে। তার প্রচারে বাংলায় আসছেন শাহ। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কলকাতায় আসার কথা ছিল। তবে তাঁর সফর স্থগিত করা হয়েছে। তিনি আসলে সেদিনই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের ব্যবস্থা করা যেত। তবে রবিবার তিনি কলকাতায় আসছেন। তখন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে অমিত শাহের বৈঠকের ব্যবস্থা করা হতে পারে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে অভয়ার বাবা বলেছিলেন, যে তাঁদের মেয়ের সাথে জঘন্য এবং অনাকাঙ্খিত ঘটনার পর তাঁরা প্রচন্ড মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন এবং অসহায় বোধ করছেন। মৃতের বাবা আর্জি জানান, যে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান। কয়েকটি বিষয়ে তিনি আলোচনা করতে চান এবং এনিয়ে তাঁর কাছে সাহায্য চান।
প্রসঙ্গত, এই চিঠি দেওয়ার একদিন পরেই জুনিয়র ডাক্তারদের একটি দল ধর্ষণ ও হত্যার পরে তাঁদের দাবির সমর্থনে তাদের অনশন-আমরণ আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁদের অনশন প্রত্যাহার করেছেন। উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট সকালে আরজি করের সেমিনার হল থেকে নির্যাতিতার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। নাগরিক সমাজের আন্দোলন প্রতিবাদের জেরে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল রাজ্য সরকারের। এদিকে, এই ঘটনা কলকাতা পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শুরু করার পর ধর্ষণ, খুনের অভিযোগে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে। পরে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। চলতি মাসের শুরুতে কলকাতার একটি বিশেষ আদালতে সিবিআই প্রথম চার্জশিট দাখিল করে। তাতে দাবি করা হয়, এটি গণধর্ষণ ছিল না, সঞ্জয় রায়কে ধর্ষণ ও খুনের অপরাধে একমাত্র প্রধান অভিযুক্ত হিসাবেই চিহ্নিত করা হয়।