• ডানার ঝাপটা দক্ষিণবঙ্গে, রাত জেগে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী
    বর্তমান | ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মধ্যরাতে স্থলভাগ স্পর্শ করেছে ঘূণিঝড় ডানা। ল্যান্ডফল হয়েছে ধামারা ও ভিতরকণিকার মধ্যবর্তী এলাকায়। তবে ডানা-র ঝাপটা লেগেছে এরাজ্যেও। বিশেষ করে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা ভারী বৃষ্টিপাতের সম্মুখীন হয়েছে। মধ্যরাতে ল্যান্ডফল হওয়ায় তখন থেকেই ঝোড়ো হাওয়া ও ব্যাপক বৃষ্টির সাক্ষী দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি। ভোরের দিকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে কলকাতাতেও।

    পরিস্থিতির দিকে সারা রাত নজর রেখেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রাত আড়াইটে নাগাদও সাগর, দীঘা, গোসাবা, মথুরাপুর সহ অন্যান্য এলাকার পরিস্থিতির খবর নেন তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসক সুমিত গুপ্তকে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়টি নজরে রাখতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও, রিলিফ ক্যাম্পগুলি কেমন চলছে, কতজন আশ্রয় নিতে এসেছে সে সম্পর্কেও ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল আগরওয়ালকে ফোনে জানতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরের জেলা শাসককেও রাতে ফোন করে আপডেট নেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও, শুক্রবার দুপুর ১টায় জেলা শাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    অন্যদিকে, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর সূত্রে খবর এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি ত্রিপল বিলি করা হয়েছে। সাত জেলায় নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ২ লক্ষ ১৬ হাজার ১১০ জনকে। ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৭১০ জন রয়েছেন রিলিফ ক্যাম্পে।

    ডানা-র প্রভাব এ রাজ্যে সব থেকে বেশি পড়েছে দুই মেদিনীপুরে। এছাড়াও, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতায় বেশ কিছু গাছ ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৪০টি ইলেক্ট্রিক খুঁটি ভেঙেছে। ১৫টি ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি, বেশ কিছু জায়গায় তার ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জোর কদমে কাজ শুরু হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)