প্রসঙ্গত, ডানার প্রভাব আরামবাগেও। রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও ভোর থেকে বৃষ্টি হচ্ছে মুষলধারেই। সকালেও বৃষ্টি হয়েছে। তবে বেলার দিকে ঘন কালো মেঘ থাকলেও বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে। কখনও ঝিরিঝিরি করে আবার কখনও মুসলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। জনজীবনেও রীতিমতো প্রভাব পড়েছে। রাস্তাঘাট সুনসান। বাজার গুলিতেও লোকজন নেই বললেই চলে। জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত। ডানার প্রভাবে স্কুল কলেজও শনিবার পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই স্কুল গুলিতেও ছাত্রছাত্রীরা আসেনি। রাস্তাঘাটও সুনসান। মোট কথা ডানার প্রভাবে গোটা আরামবাগ মহকুমার বিস্তির্ণ এলাকা একেবারেই বিপর্যস্ত। আরামবাগ শহরের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে দ্বারকেশ্বর নদী।নদীতে সেই ভাবে জল ছিল না। তবে ব্যাপক বৃষ্টি হওয়ায় এই নদীর জলও বাড়ছে ধীরে ধীরে।
কিন্তু তীব্র ঘূর্ণিঝড় ডানার আক্রমণে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করা হলেও বড়সড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি ভদ্রকের দামরা এলাকায়। কেবল কয়েকটি গাছ উপরে পড়েছে। কয়েকটি কাঁচা বাডি সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ওড়িশার বাসিন্দাদের থেকে মন্ত্রীর মতে, ধামরা লাগোয়া ভিতরকণীকা ভিতরে রয়েছে ম্যানগ্রোভের জঙ্গল। তীব্র ঘূর্ণিঝড় ম্যানগ্রোভ টক্কর খাওয়ার ফলে হাওয়ার দমকা হাওয়ায় তীব্রতা বেশ কিছু খানিকটা হ্রাস পায়। তার ফলে ধামরা আঘাত হানলেও বড়সড় ক্ষতি করতে পারেনি ডানা।