গত ২১ তারিখ ফের অশান্তি হয়। এরপর ওইদিন রাতে শুক্লা দেবী ফের বিজেপি পঞ্চায়েতের বাড়িতে যান। অভিযোগ এরপর সালিশি করার নামে বাপ্পাকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় পঞ্চায়েতের লোকেরা। সেখানে বাপ্পাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর রাতে বাপ্পা বাড়ি ফিরে আসলেও বাড়িতে আসেননি তার স্ত্রী। তিনি পঞ্চায়েতের বাড়িতেই আশ্রয় নেন বলে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জানান । পরদিন ফের বাপের বাড়ি চলে যান। এইদিকে বাপ্পা মোহন্ত ২২ তারিখ সকালে গত রাতে তাকে মারধর এর ঘটনার কথা দাদা বিশ্বনাথ মোহন্তকে খুলে বলেন। এরপর তার দাদা বিষয়টি পাশের বুথের তৃনমূল পঞ্চায়েতকে জানান। তৃণমূল পঞ্চায়েত বিষয়টি থানায় লিখিত আকারে জানাতে বলেন।
কিন্তু ওইদিন থেকেই বাপ্পা মোহন্তর মানসিক অবসাদ শুরু হয়।তিনি দাদাকে বলতে থাকেন আত্মহত্যা করার কথা। দাদা বিশ্বনাথ মোহন্ত তাঁকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু ২৩ তারিখ দুপুরে বাপ্পা জলপাইগুড়ি মোহিত নগর এলাকায় ট্রেনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানা যায়। এরপর বাপ্পার দাদা স্ত্রী শুক্লা মোহন্ত,বিজেপি পঞ্চায়েত দিলীপ মিত্র সহ মোট ৬ জনকে অভিযুক্ত করে কোতোয়ালি থানায় এজাহার দায়ের করেন।
বিশ্বনাথ মোহন্ত বলেন সালিশি করার নামে আমার ভাইকে তার বাড়িতে ঢেকে নিয়ে যায় বিজেপি পঞ্চায়েত দিলীপ মিত্র। সেখানে আমার ভাইকে বেধড়ক মারধর করে দিলীপ মিত্রর গুন্ডা বাহিনী। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে আমার ভাই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। আমি অভিযুক্তদের কড়া শান্তির দাবী জানাচ্ছি। স্ত্রী শুক্লা মোহন্ত তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তার স্বামী নেশাগ্রস্ত। প্রতিদিন তাকে মারধর করতো। সেদিনও মারধর করেছিলো। তাই তিনি প্রান বাঁচাতে পঞ্চায়েতের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বিজেপি পঞ্চায়েত দিলীপ মিত্র বলেন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমি কাউকে ডাকিনি। সেদিন রাতে শুক্লা দেবী তার নেশাগ্রস্ত স্বামী বাপ্পা মোহন্তর দ্বারা অত্যাচারিত হয়ে আমার বাড়ি এসেছিলো। এরপর আমার বাড়িতে চড়াও হয় বাপ্পা। আমার সামনেই তার স্ত্রীকে গলা টিপে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল।আমি আটকাতে গেলে আমাকে মারধর করে। আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়।আমার শরীরের বিভিন্ন যায়গায় আঘাত লাগে।বেগতিক দেখে বাপ্পাপালিয়ে যায়। আমি ওই অবস্থায় থানায় ছুটে যাই। লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এখন চক্রান্ত করে তৃণমূল এইসব করাচ্ছে।আমি চাই প্রশাসন উপযুক্ত তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিক। এই ঘটনায় পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার দেহের ময়নাতদন্ত হয়। এরপর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিস।
আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ...
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭