এদিন শহরে জল জমা প্রসঙ্গেই ফিরহাদ হাকিম বলেন, সেটা বার করে দিয়েছি। নতুন করে বৃষ্টি না হলে ৩-৪ ঘণ্টায় জল বেরিয়ে যাবে। নিচু এলাকাগুলিতে জল জমেছে। সেটা দু-তিন ঘণ্টার মধ্যে বেরিয়ে যাবে। ৪৮৩ টি বড় পাম্প চলছে। মোট ৮৭ টি পাম্পিং স্টেশন রয়েছে। তবে একটাও গাছ পড়েনি, একটাও বিদ্যুৎ খুঁটি পড়েনি। আমাদের কর্মীরা সারারাত জেগে জল বার করার চেষ্টা করংছে। কলকাতাবাসী পাশে কলকাতা পৌরসংস্থা আছে। আমাদের ১৪ লক্ষ ডিস্টেলিং করে বার করা হয়েছে। প্রায় ৫০ বছরের জমা।
তিনি আরও বলেন, ঠনঠনিয়া আমাদের একটা পাম্পিং স্টেশন করছি। ঋষিকেশ পার্ক করা হচ্ছে। যেটা নেতাজি পাম্পিং স্টেশন নাম দেওয়া হয়েছে। বর্ষার আগে কম্পোসড অডিট করি। তার ফলে একটাও বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। সৌগত রায়ের বাড়ির সামনে যখন থেকে ওনার বাবা বাড়ি নিয়েছিলেন তখন থেকে জল জমে। বালিগুং পাম্পিং স্টেশন পাম্প চালানো সম্ভব হয়নি। তাই জল জমেছে।
দু-তিন ঘণ্টায় আমরা জল বার করে দেবেন বলে আশ্বাস মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিন ফের কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি বলেন, রাজ্যের তহবিল থেকে টাকা বরাদ্দ করে কাজ করছি। আমাদের কয়েকশো কোটি টাকা আটকে রেখেছে। কলকাতা অনেক জায়গায় পার্কিং লট হয়েছে। যেমন সম্পূর্ণ মাসে মাত্র 1000 টাকা লাগে। রাস্তায় গাড়ি রাখলে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। আগে আমরা অনুরোধ করবে তারপরেও যদি না হয় তাহলে আমরা বেআইনি পার্কিং-এর বিরুদ্ধে অভিযানে নামব।
ফিরহাদের কথায়, আমার একটা টাস্ক ফোর্স তৈরি করছি। গ্লোবাল ওয়ার্মিং জন্য এইসমস্ত ঘটনা ঘটছে। আমরা শেল্টারে মানুষকে স্থানান্তরিত করে বিপজ্জনক বাড়ি থেকে সরিয়ে নিয়ে সেই বাড়ির সংস্কারের কাজ করব। এছাড়া আমরা এয়ার কোয়ালিটি নিয়ে কাজ শুরু করব। মুখ্যমন্ত্রী বন্যা কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেছেন। রাজ্য সরকার কাজ করছে। আমাদের হাতে ডিভিসি নেই। এখন জল যন্ত্রণা হয় কেবল বৃষ্টি থেকে জল জমলে। আর কিছু হলে জল জমে না।