রাজীব চক্রবর্তী: ওয়াকফ বোর্ড সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকের তুমুল বিতণ্ডার পর প্রথম মুখ খুলেই বিস্ফোরক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়! জেপিসির বৈঠকে সেদিন কী ঘটেছিল, তা নিয়ে মন্তব্য না করলেও একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কল্যাণ।
ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তৈরি হয়েছিল ধুন্ধুমার পরিবেশ। কাচের বোতল ভেঙে নিজেই আহত হন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণের আচরণ ক্ষমার যোগ্য নয় বলে দাবি বিজেপির। সে কারণে একদিনের সাসপেনশন যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের তিন সাংসদ। তাঁদের মতে, কল্যাণকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বরখাস্ত করা উচিত।
এরপরই কল্যাণের তোপ, ক্ষমতা থাকলে সংসদ থেকে বরখাস্ত করে দেখাক। আমাকে হত্যাও করা হতে পারে, এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করে কল্যাণের ঘোষণা- "আমার লড়াই চলবে, নন সেকুলার ফোর্সের বিরুদ্ধে।" সেদিনের ঘটনায় আহত হওয়ার পর জেপিসির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল বা শাসক দলের কোনও সাংসদই তাঁর খোঁজ নেননি বলে জানান কল্যাণ।
এক সময়ের সহকর্মী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে খোলা চ্যালেঞ্জ করলেন কল্যাণ। বললেন, "ও আইনজীবী নাকি? আমি চ্যালেঞ্জ করছি ওকে সুপ্রিম কোর্টে কোনও বড় মামলায় ২০ মিনিট বিতর্ক করার জন্য।" প্রসঙ্গত, বিল নিয়ে ভরা সভায় কল্যাণ-অভিজিৎ বচসা হয়। একে অপরকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করেন। তার জেরে মেজাজ হারান শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কাচের বোতল ভেঙে ফেলেন। তাতে আহত হন নিজেই। এমনকী হাতে চোট পান।
শমীক ভট্টাচার্য এই বিরুদ্ধে বলেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে বীর রসের অধিক্য আছে। ওনার অভিনয় ক্ষমতায় দক্ষ। কল্যাণ বাবুকে মনে হয় ওনার দলেরই কেউ হুমকি দিয়েছেন গভীর রাতে।