তিনি বলেন, কিছু জেলায় ঝোড়ো হাওয়ার জন্য ক্ষয়ক্ষতি খবর পাচ্ছি। ২ লাখ ১৬ হাজার লোককে ইভাকুয়েট করতে পেরেছি। বৃষ্টি কমলে বুঝতে পারব কতটা ক্ষতি হয়েছে। জেলা প্রশাসনকে বলব ত্রাণ যাতে পৌঁছে যায়। এমনকী সকাল থেকে সাগরের বিধায়কের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ নিলেন তিনি।
কপিল মুনির আশ্রমের সামনে জল জমার ঘটনারও উল্লেখ করেন। নামখানা বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। জানা গিয়েছে, নারায়ণগরের বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন, মানস ভুঁইয়াকে ফোন করেন, কেশিয়ারি বিধায়ককে ফোন করেন এবং বিরবাহার সঙ্গে ফোনে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর।
এদিন মমতা বলেন, জেলা শাসক,পুলিস সুপাররা ভালো কাজ করেছে। সাগর, গোঁসাবা,সন্দেশ খালি তে বৃষ্টি হয়েছে। বাঁকুড়া জেলা শাসকের উদ্দেশে জানান, ২৯ টা ক্যাম্প চলছে,২৭ কাঁচা বাড়ি ড্যামেজ, আড়াই হাজার মানুষকে ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।
তাঁর কথায়, শনিবারের পর সব তালিকা করবে। কৃষি সচিবকে বলছি ক্ষতি কি হয়েছে তালিকা করুন। আগে যে বন্যা হয়েছে সেখানে কাজ কতদূর। জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কাদের তালিকা করতে হবে। ৩১ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হলো বিমার সুযোগ চাষীরা যাতে কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। মেডিকেল ক্যাম্প করতে হবে, এরপর ডেঙ্গি বাড়বে।সাপের ওষুধ এন্টি ভেনাম যাতে থাকে।
কিছু গাছ পড়ে গেছে।সেগুলো তুলে লাগানোর সিস্টেম আছে। যাদের বই নষ্ট হয়েছে তাদের বই কিনে দিতে হবে। যাদের বাড়ি ডুবে গেছে তাদের জামা কাপড় দিতে হবে। একটা নয় তিনটে ত্রিপল দিতে হবে। উত্তরবঙ্গে ম্যালেরিয়া বেশি হয় ওদের মশারী দিতে হবে। ডেঙ্গু যাতে না বাড়ে।
ভাইরাল জিকা যাতে না বারে। নজর দিতে হবে। টেলি মেডিসিন কাজে লাগাও। জেলায় থেকে যাতে কলকাতার ট্রিটমেন্ট পায়। প্রসূতি মায়েদের যত্ন রাখতে হবে। ডায়রিয়া ওষুধ,ও আর এস রাখতে হবে। ভালো করে ত্রান পৌঁছন। জেলাশাসকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুলিস সুপাররা ত্রাণ দেওয়ার কাজে কাজ করবে। শিলাবতী নদীর জলে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর বেশি ক্ষতি হয়।
দিঘা,হলদিয়া,রামনগর ভালো করে দেখতে হবে। জগন্নাথ মন্দির ঠিক আছে তো? নজর রাখবে আতশ বাজির ক্ষেত্রে। পরিকল্পনা চলছে যাতে কেউ সমস্যা করতে না পারে।ভেস্তে দিতে হবে। ছট পুজোর আগে ঘাট গুলো পরিষ্কার করতে হবে। স্লিপ যাতে না হয়। হাই মাস লাইট লাগাতে হবে।