• বাড়ছে চিতা-হাতির হানা, বন্যপ্রাণীর গতিবিধিতে ড্রোনে নজরদারির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
    প্রতিদিন | ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের জঙ্গলঘেরা বসতিগুলোয় মাঝে মধ্যেই হানা দেয় বন্যপ্রাণী। চিতা, হাতির হানায় গবাদি পশু-সহ অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হন সাধারণ মানুষও। এবার বঙ্গের ঘন জঙ্গলগুলোয় প্রাণীদের গতিবিধি উপর ড্রোনে নজরদারি রাখার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রতি জেলায় একটি করে ড্রোন রাখার কথা বলেন তিনি। এই খাতে রাজ্য সরকারের তরফে অর্থ বরাদ্দের কথাও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, কর্মশ্রী প্রকল্পের অধীনে জঙ্গল লাগোয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরদারির কাজে লাগানোর পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর। 

    ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ দাপট দেখিয়েছে বাংলা ও ওড়িশার উপকূলে। তার জেরে রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নবান্নে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে লোকালয়ে বন্যপ্রাণী হানার বিষয়টি উঠে আসে। সম্প্রতি, জলপাইগুড়িতে এক কিশোরীকে চিতাবাঘ তুলে নিয়ে যায়। সেই ঘটনা তুলে ধরে পরিবেশ দপ্তরের আধিকারিককে ডেকে মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন, “খবর পাচ্ছি, চিতা বেরিয়ে আসছে মাঝেমাঝে। ফরেস্টের লোকেরা নজর রাখে না? একটি বাচ্চা মেয়েকে চিতা তুলে নিয়ে গিয়েছে। আমার খারাপ লেগেছে শুনে। ওই পরিবারকে সাহায্য করতে হবে।” এর পরই তিনি বলেন, “ফরেস্টগুলোতে নজরদারি রাখতে তোমরা ড্রোন ব্যবহার করো। প্রতিটি জেলায় একটি করে ড্রোন থাকবে।” পাশাপাশি, ৫০ দিনের কর্মশ্রী প্রকল্পের অধীনে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের কাজে লাগিয়ে নজরদারি চালানোর কথা বলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানান, ইতিমধ্যেই ড্রোন কেনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তা শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যতক্ষণ না তা হচ্ছে, অস্থায়ীভাবে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা করতে হবে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)