• 'দানা'-র দাপট থেকে বাঁচলেও ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে কলকাতা
    এই সময় | ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • 'দানা'-র দাপট মালুম হয়নি ঠিকই। তবে এই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। শুক্রবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কখনও ভারী, কখনও আবার অতি ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। কলকাতায় এখনও পর্যন্ত গড়ে ৭৫-৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় নিয়ে উদ্বেগ ছিল বঙ্গেও। তবে শেষ মুহূর্তে পড়শি রাজ্য ওডিশাতেই দাপাদাপি করেছে দানা, তছনছ করেছে বিভিন্ন এলাকা। বাংলায় নিজের দামালপনা না দেখালেও অনুষঙ্গে আনা বৃষ্টিতে নাকাল বঙ্গবাসী। নাছোড় বৃষ্টি শুক্রবার বিকাল অবধি ভোগাবে বলে এখনও অবধি হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস।

    জল থইথই কলকাতায় নাকাল সাধারণ মানুষ। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও তুলনামূলক কম। কলকাতা পুরসভার সদর দপ্তরের গেটে হাঁটু পর্যন্ত জল জমে গিয়েছে। তবে সকাল থেকেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে কলকাতা পুরনিগমের কর্মীরা। বিভিন্ন জায়গায় জল সরানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।

    কলকাতা পুরনিগমের কন্ট্রোল রুমে সদা চোখ পুর আধিকারিকদের। খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম পরিস্থিতি নজরে রাখছেন। রাতভর কন্ট্রোল রুমে ছিলেন তিনি। সকাল থেকেও নজরদারি চলছে। পুরনিগমের সামনে জমা জল সরাতে আনা হয়েছে পাম্প।

    জলমগ্ন মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি এলাকা, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের ক্রসিং। জল জমেছে ভিআইপি, চিনার পার্ক এলাকাতেও। মানিকতলায় ভোর ৪টে থেকে দুপুর ১২টা অবধি বৃষ্টি হয়েছে ৬২ মিলিমিটার, বেলগাছিয়ায় বৃষ্টির পরিমাণ ৪৭ মিলিমিটার, চেতলা লকগেটে ৮৯ মিলিমিটার, কালীঘাটে ৮৯.৪০ মিলিমিটার, বালিগঞ্জে ১০৪ মিলিমিটার। ভারী বর্ষণে বিপাকে চাষিরাও। প্রবল ক্ষতির মুখে আলুচাষ, সবজি চাষও। উদ্বেগে ধান চাষিরাও।
  • Link to this news (এই সময়)