দানার মাঝেই দাঁতালের হানা বাঁকুড়ায়, পরিবার নিয়ে দলে দলে হাজির
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ অক্টোবর ২০২৪
একদিকে তো দানার হানা। আর সেই সঙ্গেই হাতির আতঙ্ক জলপুর ও বিষ্ণুপুরের জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে। এদিকে দানার প্রভাবে কিছু জায়গায় বৃ্ষ্টি হচ্ছে। তার মধ্যে হাতিদের নিয়ে মহা চিন্তায় সাধারণ মানুষ। উদ্বেগে বনদফতরও। আপাতত তাদের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আটকে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে মেদিনীপুরের জঙ্গল থেকে জয়পুর ও বিষ্ণুপুরের জঙ্গলে প্রবেশ করে ৩০ থেকে ৩২টি হাতির দল। বিষ্ণুপুরের জঙ্গলে আসার পরে হাতির দল আবার দুটি দলে ভাগ হয়ে যায়। জয়পুর রেঞ্জের বেনাচাপড়ার দিকে চলে যায় ৮টি হাতি। বাকাদল রেঞ্জের আস্থাশলে রয়েছে ২২ থেকে ২৪টি হাতি। মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ার সীমানায় ১২টি হাতির দল ছিল বলে খবর। বিষ্ণুপুরের পাঞ্চেত বনবিভাগের তরফ থেকে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে বলে খবর। কেউ যাতে জঙ্গল ও জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় না যান সেব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে বাঁকুড়ার একাধিক রাস্তায় দেখা যায় রাস্তা পার হচ্ছে হাতির দল। তার পেছনে তাড়া করছে সাধারণ মানুষ। এনিয়ে উদ্বিগ্ন বনদফতর। হাতির দলকে বিরক্ত না করার জন্যও বার বার অনুরোধ করা হয়েছে বনদফতরের তরফে।
বিষ্ণুপুরের এক স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জীব হালদার বলেন, একে তো দানার আতঙ্ক। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হাতির আতঙ্ক। বেশ ভয়ে ভয়ে আছি। জয়পুর রেঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেঞ্জ অফিসার দুর্গাশঙ্কর দাস বলেন, সব মিলিয়ে ৩০-৩৫ টা হাতি রয়েছে। মেদিনীপুর বর্ডারে আরও ১২টা হাতি রয়েছে। সেগুলিও ঢুকে যেতে পারে। ওরা নির্দিষ্ট রুটেই যাতায়াত করে। ওরা তো আর ওয়েদারের ব্যাপারটা বোঝে না। এদিকে বৃষ্টিতে চারদিকে কাদা হয়ে গিয়েছে। হাতিগুলিকে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় আটকে রেখে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি যতটা সম্ভব কম করার ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে।
মূলত সমস্যাটা যেটা হচ্ছে বৃষ্টির জেরে চারদিকে কাদা হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে বৃষ্টি- কাদার মধ্য়ে হাতি তাড়ানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ার কথা। সেটাই হচ্ছে। এদিকে আলুর চাষও শুরু হয়েছে। এই আলু চাষের জমিতে যদি হাতির দল নেমে যায় সেক্ষেত্রে বড় সমস্যা হতে পারে। কারণ আলুর জমিতে যদি দলে দলে হাতির দল নেমে পড়ে তবে চাষির মাথায় হাত পড়বে। সেকারণে বনদফতর চেষ্টা করছে হাতির দলকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আটকে রাখতে। এর জেরে সেগুলি আর জমিতে নেমে পড়বে না।