রচনার ‘ক্যুইন্টাল ক্যুইন্টাল’এর পর এবার মমতার মুখে ‘কিউসেক টন জল'
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ অক্টোবর ২০২৪
হুগলিতে বন্য দেখতে দিয়ে ‘ক্যুইন্টাল ক্যুইন্টাল জল বেরিয়ে আসছে’ বলে ভাইরাল হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর পথে হেঁটেই জলধারণের নতুন একক জানালেন তাঁর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, ‘সঠিকভাবে বাঁধ খনন করলে আরও কিউসেক টন জল ধরে রাখতে পারে ডিভিসি।’
সেপ্টেম্বরে বন্যার পর থেকেই ডিভিসির নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন জলাধারের জলধারণক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। কেন্দ্রীয় সরকার পলি খননে উদ্যোগী না হওয়ায় প্রতিটি জলাধারের ধারণক্ষমতা ভগ্নাংশে এসে পৌঁছেছে বলে দাবি করেন তিনি। এমনকী সেপ্টেম্বরের বন্যার জন্য দায়ী করে ডিভিসির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। সেই বিবাদের রেশ মিটতে না মিটতেই এসে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা। ফের একবার প্লাবনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের নিচু এলাকাগুলিতে। আর সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে ফের একবার ডিভিসিকে দোষারোপ শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ঘূর্ণিঝড় দানা নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখার সময় বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘ডিভিসির ওটা যদি ওরা খননটা ঠিক মতো করে, পলিগুলো ক্লিয়ার করে তাহলে কিন্তু ওরা চার লক্ষ কিউসেক টন বেশি জল বেশি রাখতে পারে।’ এর পরই পাশে বসে থাকা মুখ্যসচিবের দিকে তাকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘কিউসেক বলে, তাই তো?’
বলে রাখি, বাঁধের জলধারণ ক্ষমতা ঘনফলে মাপা হয়। ঘনফুট, ঘন মিটার, একর ফুট ইত্যাদি এককে মাপা হয় বাঁধের জলধারণ ক্ষমতাকে। কিউসেক বা কিউমেক এককে মাপা হয় কোনও ছিদ্র থেকে তরলের নর্গমনের হারকে।